নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিল্লাল চেয়ারম্যান হত্যা মামলার ৬ আসামী ও সংস্কার পন্থীদের নিয়ে বিএনপির ব্যানারে সমাবেশ করায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের তৃণমুল বিএনপির উদ্যোগে বিতর্কিত এ সমাবেশের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করে সোনারগাঁ উপজেলার তৃণমুল বিএনপি।
অনুসন্ধানী সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের অলিপুরা বাজারে এক-এগারোর সংস্কারপন্থী ও তাদের দোসররা আওয়ামী লীগ নেতার রমজান সরকারের সভাপতিত্বে সাবেক জেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক শাহ আলম মুকুল বিএনপির ব্যানারে একটি সমাবেশ করা হয়। শুধু তাই নয় সেই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ২০১৪ সালে সনমান্দী ইউনিউনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেনকে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যার সাথে জড়িত চিহ্নিত ৬ আসামী জিয়াউল,আক্তার হোসেন,মোক্তার হোসেন,দেলোয়ার,তাঁরা মিয়া,খাইরুলও উপস্থিত। দীর্ঘদিন পলাতক অবস্থায় থেকে তারা এখন অদৃশ্য শক্তির উপর ভর করে। জামিনে এলাকায় এসে বিএনপির বিতর্কিত নেতা সংস্কারপন্থী অধ্যাপক রেজাউল করিম ও আবু জাফরে ঘনিষ্ঠ সহচোর হয়ে বিএনপির ব্যানার ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম ও চাঁদাবাজি ও দখলবাজী করছে। যার কারণে এলাকায় সাধারণ মানুষের ভেতরে আতঙ্ক ও তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সনমান্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন জানান, সনমান্দী ইউনিয়নে নতুন হাইব্রিড নেতা রমজান সরকার একজন আ’লীগ নেতা। বিগত ১৭ বছর ধরে সে আ’লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলো। যার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পুরো উপজেলায় সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী সবাই অতিষ্ট। ৫ ই আগষ্ট সরকার পতনের পর বিএনপির বিতর্কিত নেতা ও সংস্কার পন্থী রেজাউল করিমের অনুসারী শাহ-আলম মুকুলের সাথে আতাত করে বিশাল অঙ্কের অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে বিএনপিতে যোগ দেন। এর পর থেকেই মুকুলের সহযোগিতায় আ’লীগ থেকে বিএনপির ট্যাগ লাগিয়ে অলিপুরা বাজার ও সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজী ও দখল বানিজ্য শুরু করে। গত শনিবার শাহ-আলম মুকুলের নেতৃত্বে ৬ মামলার আসামী ও আ’লীগ নেতাদের নিয়ে বিএনপির ব্যানারে এলাকায় সমাবেশ করা হয়৷ আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাবেক বিএনপি ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো:মাসুম মিয়া বলেন, আমার বাবা সনমান্দী ইউনিয়নের সাবেক বিএনপির সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ সালে আ’লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। সেই হত্যা মামলার আসামীরা আজ বিএনপি নামধারী নেতাদের ভর করে উপজেলার বিভিন্ন মিটিং মিছিলে সরব উপস্থিত হয়ে বিএনপি নেতা বলে দাবী করছে। গত শনিবার শাহ-আলম মুকুল যে প্রোগ্রাম করেছে সেখানে কিভাবে হত্যা মামলার ৬ জন আসামী উপস্থিত থাকে এবং আ’লীগের ঘনিষ্ট সহচর রমজান সরকার সে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করে। এ ঘৃণিত কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূল বিএনপি প্রতিবাদ মিছিল করেছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, গত ১৬ বছর স্বৈরাচারী সরকারের নির্যাতন সহ্য করেছি। কিন্তু ছাত্রজনতার আন্দোলনের পর কিছু হাইব্রিড নেতা বিএনপি ট্যাগ লাগিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গুটি কয়েক লোক নিয়ে দেখানো মিটিং মিছিল করছে এবং উপজেলায় চাঁদাবাজি, দখলবাজির মতো ঘৃণিত কাজে লিপ্ত হয়ে তৃণমূল বিএনপিকে বিতর্কিত করছে৷ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ যেনো তারা সঠিক তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসে।