বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে নবীগঞ্জ কবরস্থান থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত উজ্জামানের উপস্থিতিতে মরদেহ তোলা হয়।
গত ৫ আগস্ট দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয় বন্দর কুশিয়ারা গ্রামের জাকির মিয়ার ছোট ছেলে স্বজন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হলে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টার অপারেশনের পর পেট থেকে বের করা হয় গুলি। ৬ আগস্ট সন্ধ্যায় আইসিইউতে মারা যায় স্বজন। দাফনের প্রায় ২ মাস ১৬ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য নবীগঞ্জ বাগে জান্নাত কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
নিহতে স্বজনের ভাই অনিক গনমাধ্যমকে বলেন ‘আমার ভাই মৃত্যুর ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রাতে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করি। সেই মামলায় তদন্তের জন্য আজকে স্বজনের লাশ তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আবার দাফন করা হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সংগঠক ফারহানা মানিক মুনা বলেন, ‘আমরা আবুল হাসান স্বজনসহ নারায়ণগঞ্জের যত শহীদ হয়েছে এই আন্দোলনে, তাদের ন্যায় বিচার নিশ্চিতের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি বহু চিহ্নিত হত্যাকারী এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা এখন আমাদের অন্যতম লড়াই।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক ফরিদ আহম্মদ বলেন, ‘মামলার তদন্তের জন্য আজকে (বুধবার) লাশটি উত্তোলন করা হয়েছে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত দুজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।’