নিজস্ব প্রতিবেদক : চাষাঢ়ায় আল জয়নালের নির্মানাধীণ ভবনের সরঞ্জাম চুরি করার অভিযোগ উঠেছে নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে। এমনকি সিসি টিভি ফুটেজ দেখে নাজমা বেগমকে চুরির মালামাল চাইতে গেলে চাঁদা দাবি সহ প্রাননাশের হুমকী দিয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী আল-জয়নাল হাউজিং লিমিটেড এর ল্যান্ড সার্ভেয়ার মো. মনির মৃধা। অভিযোগে বিবাদী করা হয়েছে ১। নাজমা বেগম ২। বার্ণা ৩। ঝুমুর ৪। মোঃ সজিব হোসেন।
ভুক্তভোগী মনির জানায়, আমার কোম্পানীর মালিকের সম্পত্তি খানপুর ‘ম’ খন্ড মৌজাস্থিত এস,এ ৫৯৫, ৫৯৬ আর,এস ৮১৬ ও ৮১৯ নং দাগের সম্পত্তি এস,এ ও আর, এস রেকর্ডীয় মালিকগণের নিকট হইতে রেজিস্ট্রীকৃত দলিল মূলে মালিক হয়। আসামীরা লোভী, আইন অমান্যকারী, সম্পদ লুণ্ঠনকারী ও দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক। নাজমা বেগম একজন দূধর্ষ মহিলা গত ৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টায় ওই মালিকানাধীন সম্পত্তিতে বে-আইনী ভাবে প্রবেশ করে বিভিন্ন গাছ দা দিয়া কেটে তার বাড়ীর ভেতরে নিয়া যায়। ওইসময় মালিকানা সংক্রান্ত সাইনবোর্ডটিও শাবল দিয়া উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনাটির সি.সি ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজও রয়েছে।
কিন্তু সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে কাল্পনিক ঘটনা সাজাইয়া উল্টো ১ নং বিবাদী নাজমা নিজেই বাদী হইয়া আমার নামসহ আরো আটজন নীরিহ লোক এর নাম জড়াইয়া নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় গত ১৩ অক্টোবর ৪(১০)২৪ নং মিথ্যা মামলা দায়ের করে অযথা হয়রানী করছে। পরবর্তীতে আমরা সকলে আদালতে আত্মসমপর্ণ করে জামিন পাই।
এছাড়াও ১৭ অক্টোবর বিকাল ৪টায় অজ্ঞাত নামা ৬/৭ জন সন্ত্রাসী গুন্ডা বাহিনী দা, কুড়াল, লোহার রড নিয়া চাষাঢ়া আল জয়নাল নীট ফেব্রীক্স মার্কেট এর উত্তর পার্শ্বে অবৈধ ভাবে ঘর নির্মাণ করে বিবাদীগণ খুটি, টিন, বাঁশ আনিয়া জাড়ো করেছে। ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক ধারালো অস্ত্র দিয়া ১ নং বিবাদী কোপ মারলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হইলে প্রাণে বেঁচে যায়। ২,৩ ও ৪ নং আসামী বিবাদী আমার মালিকের নির্মানাধীন মার্কেটের নির্মাণ কাজের জন্য রক্ষিত আনুমানিক ১০০ কেজি টুকরো রড যাহার আনুমানিক মূল্য ৬ হাজার টাকা, সেন্টারিং প্লেনসিট যাহার আনুমানিক মূল্য ১৪ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়া যায়। আমি ১নং বিবাদীর কাছে মালামাল ফেরত চাইলে আমার নিকট হইতে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং বলে যে চাঁদা না দিলে নির্মানকাজ বন্ধ করিয়া দিবে।
এ অভিযোগের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক রমজানকে মুঠোফোনে তার ব্যবহৃত ০১৭১৯৮….. নাম্বারে একাধিকবার কল দেয়া হলে সংযোগ স্থাপন না হওয়ায় অভিযোগের অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যায় নি।