বিশেষ প্রতিনিধি : নিজেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী পরিচয় দিয়ে নিজ ফুফাতো ভাইদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি ৬ নং আদালতে একটি মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেছেন চিহ্নিত কিশোর গ্যাং লিডার ও বন্দর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মেহতাব হোসেন তাইফ। যার সি আর মামলা নং- ২৬৮/২০২৪ ইং। যা গত ৬/১০/২৪ ইং তারিখে দায়ের করা হয়। মামলাটি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশকে তদন্তের জন্য দেয়া হয়েছে।
মামলার বাদী বন্দর নবীগঞ্জ কামাল উদ্দিন মোড়ের গোলাম হোসেন এর পুত্র বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মেহতাব তার দুই ফুফাতো ভাই সুজন, জুম্মন ও তার ফুফা বকুল হোসেনকে আসামি করে অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ কে আসামি উল্লেখ্য করে মামলাটি দায়ের করেন।
প্রকৃত ভাবে মেহতাব ও তার পরিবারের সাথে পূর্ব থেকেই বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে ফুফা বকুল হোসেনের পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। যার দরুন মেহতাব এর বড় ভাই তানজিল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সুজন ও জুম্মনকে কুপিয়ে আহত করে হত্যা চেষ্টা চালায়। যার মামলা এখনো নারায়ণগঞ্জ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এরই পরিপেক্ষিতে তানজিল ও তার ভাই কিশোর গ্যাং লিডার মেহতাব নিজেদের ছাত্র আন্দোলনকারী সাজিয়ে মিথ্যা তথ্য সাজিয়ে সুজন গংদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সি আর মামলা দায়ের করেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মেহতাব এর নেতৃত্বে গত ৩-৪ ও ৫ ই আগস্ট নবীগঞ্জ ঘাট এলাকা সহ নবীগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে ছাত্র-জনতার উপর কয়েক দফা হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্বজনরা। এছাড়াও মেহতাব এর একাধিক মিছিল-মিটিং ও দলীয় বিভিন্ন কর্মকান্ডের ছবি ও ভিডিও রয়েছে গণমাধ্যম সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে৷ এত কিছুর পরও মেহতাব নিজেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী দাবি করে নিজ আত্মীয়দের ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আদালত সহ প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও সম্মান নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে। অবিলম্বে মামলাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার মেহতাব ও তার ভাই তানজিলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।