নিজস্ব প্রতিনিধি- নারায়নগঞ্জ শহরের কলেজ রোড গলাচিপা’য় মোঃ জাকির হোসেন( ৫০) ও অরিন(৪০) এর পরিচালনাধীন স্বপ্ন ছোঁয়া ডেভোলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান অপরিকল্পিত ভাবে ও বেখেয়ালি ভাবে কাজ করায় তাদের তত্বাবধানে ৮ তলা ভবনের নির্মাণাধীন দেয়াল ধ্বসে পড়ে পাশ্ববর্তী সীমানার বাসিন্দা খ্যাতিমান সঙ্গীত শিল্পী জি.এম রহমান রনী’র ৪র্থ তলার টিনসেট ঘর সম্পূর্ণ ভাঙ্গিয়া যায় ও বিল্ডিং এর কলামে ফাটলসহ ছাদ এবং কার্ণিশ ভাঙ্গিয়া পড়ে। সে সময় টিনসেট ঘরে কোন লোক না থাকায় প্রাণহানী না ঘটলেও বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জাকির হোসেন ও অরিন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এসেছে। ভুক্তভোগী ঘটনার বিষয়ে মোঃজাকির হোসেন ও অরিন এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ ও মোকাম- বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালত, নারায়নগঞ্জ এ একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং- ৭৩৩/২০২৪।
ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী সংঙ্গীত শিল্প জি.এম রহমান রনী বলেন,নারায়ণগঞ্জ অধীন জেলা- ঢাকা কালেক্টরীর তৌজিভূক্ত ২৫৪ নং তালুক রাযতি জোত স্বত্বের বাড়ি সেঃমেঃ সাঃ১৯০ হালে ৬৬ নং মৌজা -চাষাড়া এস,এ ৪৭ নং হালে ১০১ নং-খতিয়ান ভুক্ত। সাবেক ৮০/৮১ নং হালে ১২৮ নং দাগে আমার ২.৫০ শতাংশ জমিতে ৩ তলা বিল্ডিং ও ৪র্থ তলায় টিনসেট ঘর করে শান্তি পূর্ণ ভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে ও বাকি রুমগুলো ভাড়া দিয়ে বসবাস করিয়া আসিতেছি। আমার পার্শ্ববর্তী সীমানার রফিক, আরাফাত, মমিন গংদের নিকট হইতে শর্তানুসারে স্বপ্ন ছোঁয়া ডেভোলপমেন্ট কোম্পানির সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়ে বহুতল বিশিষ্ট বিল্ডিং এর নির্মাণ কাজ শুরু করে। শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করে ১ মে কাজ শুরু করে। তাদের অনেক বার সতর্ক হয়ে কাজ করার কথা বলা হলেও আমাদের কথার কোন গুরুত্ব না দিয়ে তাদের ইচ্ছে মতো কাজ করে চলে। তাদের এই গাফিলতির কারনে কিছু দিন পূর্বে তাদের দেয়াল ধ্বসে আমার বিল্ডিং এর উপর পরে আমাদের বিল্ডিং এর অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ছাদের উপর টিনসেট ঘর ভেঙে চৌচির হয়ে গুড়ো হয়ে যায়। বিল্ডিং এর অনেক স্হানে ক্ষত-বিক্ষত হয়। এসময় আমাদের পরিবারের ২ জন শিশু ও ৫ জন প্রাণে বেঁচে যান। দেয়ালের অনেক স্হানে ফাটল ধরে এমনকি দেয়ালের কলামগুলো ফাটল ধরে ঝুকিপূর্ণ হয়ে আছে। যে কোন সময় ভবনটি ভেঙে পড়ে আমাদের প্রানের মৃত্যু ঘটার সম্ভাবনার আশংকা রয়েছে। আমরা এখন প্রান ভয়ে রয়েছি। এ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে এখনো কোন প্রতিকার পাইনি বরং তারা আমাদের ক্ষতিপূরন না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়া যাচ্ছে। তারা আমাদের এই জমিসহ ভবনটি দক্ষলের পরিকল্পনা করছে বলেও আমরা জানতে পারি। তাই কোন উপায়ন্তর না পেয়ে আইনের দারস্থ হয়েছি ন্যায় বিচারের আশায়। মহামান্য আদালত থেকে সদর থানায় একটি আদেশ জারি করেছেন। আদালতের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এস.আই রাশেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন এবং তাঁর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান এবং কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়ে যান।
আমাদের দাবী সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ এই প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে সঠিক পদক্ষেপ নিবেন। আমাদের মতো আর কেউ যেন কোন ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।