দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের শঙ্কার মধ্যে আছে সাকিবের দল। উইন্ডিজের লিড টপকানো থেকে যখন ৪২ রান দূরে তখন বৃষ্টির বাধায় খেলা বন্ধ হয়। এই নিয়ে তৃতীয়বার বৃষ্টি হানা দেয়। প্রথম সেশনে বন্ধ থাকা ৮০ মিনিট পুষিয়ে নিতে আজ আধঘণ্টা বেশি খেলার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি তা হতে দিলো না। উলটো ৩৮ মিনিট (বাড়তি ৩০ মিনিটসহ) আগেই দিনের খেলার ইতি টানতে হয়। আজ সারাদিন মোটে খেলা হয়েছে ৫৬.৩ ওভার। তাতে উইকেট পড়েছে ১১টি। উইন্ডিজের ৫টি আর বাংলাদেশের ৬টি! উইন্ডিজের ১৭৪ রানের লিডের জবাবে খেলতে নেমে এউই উইকেটগুলো হারায় বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে এমন অবস্থা। সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর কেউ বিশের ঘর পেরোতে পারেননি। নুরুল হাসান সোহান-মেহেদি হাসান মিরাজ এখন শেষ ভরসা। সোহান ১৬ ও মিরাজ ০ রানে অপরাজিত আছেন। চতুর্থ দিন সকালে দুজনকে দিতে হবে অগ্নী পরীক্ষা। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন রোচ। ২ উইকেট জোসেফের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রথম ইনিংসে, বাংলাদেশ: ২৩৪/১০ (৬৪.১ ওভার) ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪০৮/১০ (১২৬.৩ ওভার)
দ্বিতীয় ইনিংসে, বাংলাদেশ: ১৩২/৬ (৩৬ ওভার)
শান্তর পর সাকিব, ইনিংস হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ
আলঝারি জোসেফের ডেলিভারি জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব আল হাসান। ক্রিজে সেট হওয়া সাকিবকে দেখাচ্ছিল সাবলীল। কিন্তু হঠাৎ করে ব্যাট চালিয়ে স্লিপে ধরা পড়ে ফিরলেন সাজঘরে। তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ১৬ রান। তার আগেই একইভাবে ফেরেন শান্তও। ক্রিজে নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গী মেহেদি হাসান মিরাজ। ইনিংস হার এড়াতে হলে আরও ৫৬ রান করতে হবে। দুজনে পারবেনতো?
শান্তর উইকেট ‘উপহার’, ইনিংস হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ
তামিম ইকবালের আউটের কপি বলা যায়। তামিম শুরুতে ফিরলেও ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আলঝারি জোসেফের ওভারপিচড আউট সাইড অফের ডেলিভারি। জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট চালিয়ে দিলেন শান্ত। যা হবার তাই হলো। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। ৯১ বলে ৮ চারে ৪২ রান করা শান্ত যেন উইকেট উপহার দিলো। একটু আগেই দলীয় শতারন পূর্ণ করা বাংলাদেশ আবার ধাক্কা খায়। শান্তর এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন শটে ভেঙে যায় সাকিবের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি। বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে ৭০ রানে। ইনিংস হার এড়াতে পারবেতো? ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী নুরুল হাসান সোহান।
সম্ভাবনা দেখিয়ে লিটনের বিদায়
বিরতি থেকে ফিরে সাবলীল খেলা খেলে সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন লিটন দাস। স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁকাচ্ছিলেন বাউন্ডারি। কিন্তু জায়দের সিলসের শিকার হয়ে তাকে ফিরে যেতে হয় ৩২ বলে ১৯ রান করেই। বল সামনের পায়ে লাগলেও জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নেয় উইন্ডিজ। বল ইন লাইন এবং উইকেটে আঘাত করছিল। সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয় আম্পায়ারকে। ভেঙে যায় ২৫ রানের জুটি। ক্রিজে নাজমুল হোসেন শান্ত সঙ্গী সাকিব আল হাসান।
বৃষ্টির পরেই চা বিরতি, বিপদে বাংলাদেশ
বোলিংয়ে দ্বিতীয় সেশনটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। ১০.৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে উইন্ডিজকে অলআউট করে। কাইল মায়ার্সের ১৪৬ রানে ভর করে ৪০৮ রান করে উইন্ডিজ। ১৭৪ রানের লিড সামনে রেখে খেলতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু কেমার রোচের তোপে ৮.৫ ওভার না যেতেই ৩২ রানে বাংলাদেশ হারায় তামিম-জয়-বিজয়কে। জয় ১৪ রান করলেও তামিম-বিজয় ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। আম্পায়ার্স কলের শিকার হয়ে বিজয় ফেরেন সাজঘরে। তার আউটের পরেই বৃষ্টি নামে। কয়েক মিনিট বৃষ্টির পর থামলেও চা বিরতিতে যায় দুই দল। বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে ১৪২ রানে।
বিজয়ের আউটের পরেই সেন্ট লুসিয়ায় বৃষ্টি
এবার কেমার রোচের শিকার হয়ে ফিরলেন এনামুল হক বিজয়। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বিজয় রিভিউ নিলেও লাভ হয়নি। বল লেগ স্ট্যাম্পের বেল স্পর্শ করে বেরিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু আম্পায়ার্স কলে বিজয়কে ফিরতে হয় ৪ রান করে। তার আউটের পরেই সেন্ট লুসিয়ায় বৃষ্টি নামে। বন্ধ রয়েছে খেলা। এর আগে প্রথম সেশনের ৪৫ মিনিট খেলা হওয়ার পর বৃষ্টিতে মধ্যাহ্ন বিরতিসহ ২ ঘণ্টা খেলা বন্ধ ছিল।
তামিমের পথে জয়, ২২ রানে নেই ২ উইকেট
টানা দুই চার মেরে রোচের তৃতীয় বলেই ধরা খেলেন মাহমুদুল হাসান জয়! রোচের এক্সট্রা বাউন্স করা বল ব্যাকফুটে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। ব্যাটের কানায় লেগে বল যলে যায় তৃতীয় স্লিপে। ব্ল্যাকউড ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি। ৩ চারে ২১ বলে ১৩ রান করে ফেরেন জয়। এর আগে রোচের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৪ রানে ফেরেন তামিম।
দৃষ্টি কটু আউট তামিম, হোল্ডিংকে টপকে রোচের ২৫০
তামিম ইকবালের যেন কিসের তাড়া। টেস্টের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন। বাংলাদেশের সামনে লিড ১৭৪। তামিমের প্রয়োজন ছিল উইকেটে গাঁটি গেঁড়ে ইনিংস লম্বা করা। কিতু তামিমের যেন খুব তাড়া। রোচের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বল। অফ সাইড দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল অহেতুক ব্যাট চালিয়ে বসেন দেশসেরা ওপেনার। বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। উল্লাসে ফেটে পড়ে উইন্ডিশ শিবির। রোচ ২৫০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক অর্জন করেন। ষষ্ঠ উইন্ডিজ বোলার হিসেবে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। টপকে যান আরেক গ্রেট মাইকেল হোল্ডিংকে টপকে যান।
খালেদের প্রথম ফাইফার, ৪০৮ রানে থামলো উইন্ডিজ
প্রথমবার ৫ উইকেটের দেখা পেলেন খালেদ আহমেদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৮ রানে অলআউট। বাংলাদেশের সামনে লিড দাঁড়ায় ১৭৪ রানের। দিনের দ্বিতীয় ওভারে সিলভাকে ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দেন মিরাজ। মাঠে এসেই খালেদের শিকার হন আলঝারি জোসেফ। ১০ ওভার না যেতেই আসে বৃষ্টি। মধ্যাহ্ন বিরতিসহ প্রায় ২ ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। আবার পুনরায় শুরু হলে ২৮ রানে বাকি ৩ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। সর্বোচ্চ ১৪৬ রানে খালেদের শিকার হয়ে ফেরেন মায়ার্স। ফিফটি করেন ব্র্যাথওয়েট (৫১)। এ ছাড়া ৪০ রান করেন ব্ল্যাকউড। সিলসকে ফিরিয়ে উইন্ডিজ ইনিংসের ইতি টেনে প্রথমবার ফাইফারের দেখা পান এই ডানহাতি পেসার। ৩১.৩ ওভারে ১০৬ রান দিয়ে উইকেটগুলো নেন খালেদ। এর আগে তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ছিল ৯২ রানে ৪ উইকেট। এ ছাড়া ৩ উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ২ উইকেটের দেখা পান শরিফুল। উইকেট শূন্য ছিলেন ইবাদত হোসেন।
চারশ পেরিয়ে নবম উইকেট হারালো উইন্ডিজ
শরিফুলের করা ১২৬তম ওভারে চতুর্থ বলে মিড অনে চার মেরে দলীয় চারশ পার করেন অভিষিক্ত ফিলিপ। পরের খোঁচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। যদিও আম্পায়ার সাড়া দেননি। বাংলাদেশ রিভিউ নিলে দেখা যায় বল ব্যাট স্পর্শ করেছে। ২১ বলে ২ চারে ৯ রান করেন ফিলিপ।
পথের কাঁটা মায়ার্সকে ফেরালেন খালেদ
কাইল মায়ার্সকে অবশেষে সাজঘরে পাঠেলেন খালেদ আহমেদ। তার ব্যাট থেকে আসে ১৪৬ রান। খালেদের করা ১১৯তম ওভারের প্রথম বল। স্লোয়ার ডেলিভারি বুঝতে পারেননি মায়ার্স। ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন, টাইমিং ঠিকঠাক হয়নি। মিড অনে ধরা পড়েন শরিফুল হাতে। ১৮ চার ও ২ ছয়ে ২০৮ বলে ১৪৬ রানের ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার। তার ব্যাটে ভর করেই দেড়শর বেশি রানের লিড দিতে পারে উইন্ডিজ। এটি মায়ার্সের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। এর আগে ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের বিপক্ষেই। এদিকে খালেদ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়বার ৪ উইকেটের দেখা পেলেন। তার সামনে সুযোগ প্রথম ফাইফারের। এখনো উইন্ডিজের ২ উইকেট বাকি।
বৃষ্টির পেটে ৮০ মিনিট, পুনরায় খেলা শুরু
সেন্ট লুসিয়া টেস্টের তৃতীয় দিন প্রথম ঘণ্টা না যেতেই বৃষ্টি হানা দেয়। বাংলাদেশ সময় ৮টা ৪৫ মিনিটে খেলা বন্ধ হয়। শুরু হয় ২ ঘণ্টা পর ১০টা ৪৫ মিনিটে। সোয়া ১০টার দিকে বৃষ্টি বন্ধ। এর মধ্যে ছিল মধ্যাহ্ন বিরতিও। প্রথম সেশনে ১০ ওভারে ৩৬ রান করে উইন্ডিজ। হারায় ২ উইকেট।
বৃষ্টিতে বন্ধ খেলা, উইন্ডিজের লিড ১৪২
তৃতীয় দিনের শুরুর পর এক ঘণ্টাও পার হয়নি। এর মাঝেই হানা দেয় বেরসিক বৃষ্টি। ১০ ওভার হওয়ার পর খেলা বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত উইন্ডিজের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৭৬ রান। উইন্ডিজের লিড ১৪২ রান।
মিরাজ-খালেদে দিনের শুরুতে স্বস্তির পরশ
মিরাজের পরই খালেদ আহমেদের আক্রমণ। নতুন ব্যাটসম্যান আলঝারি জোসেফকে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান খালেদ। তার শট বলে পুল করতে চেয়েছিলেন জোসেফ। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিকমতো সংযোগ হয়নি। ৯ বলে ৬ রান করেন জোসেফ। আর বাকি ৩ উইকেট। এটি খালেদের তৃতীয় উইকেট। পথের কাঁটা হয়ে এখনো ক্রিজে আছেন কাইল মায়ার্স।
মিরাজের ঘূর্ণিতে দিনের শুরুতে স্বস্তির পরশ
তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় ওভার জশুয়া ডা সিলভাকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে পাঠালেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
উইন্ডিজকে দ্রুত অলআউটের লক্ষ্যে তৃতীয় দিনের লড়াইয়ে বাংলাদেশ
সেন্ট লুসিয়া টেস্টের তৃতীয় দিন রোববার (২৬ জুন) মাঠে নেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৩৪ রানের জবাবে ব্যাট করছে উইন্ডিজ। ৫ উইকেটে ৩৪০ রান নিয়ে তারা দিন শুরু করে। লিড ১০৬ রানের। ক্রিজে আছেন কাইল মায়ার্স (১২৬) ও জশুয়া (২৬)। সাকিব আল হাসানের দলের লক্ষ্য উইন্ডিজের রান আটকে দ্রুত উইকেট নিয়ে লিডের পাহাড়ে চাপা না পড়া।
ব্যাকফুটে বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে আড়াইশর নিচে (২৩৪) রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। ফিল্ডিংয়ে নেমে দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনে চার উইকেট ছাড়া বাকি সেশনগুলোতে বাংলাদেশের বোলাররা ছিলেন নিস্প্রভ। ১০৬ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামছে স্বাগতিকরা। আজ দ্রুত মায়ার্স-জশুয়াকে ফেরাতে না পারলে বাংলাদেশের জন্য বড় বিপদ হবে।
হতাশ রাসেল ডমিঙ্গো
দ্বিতীয় দিন শেষে হতাশ কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেন, ‘ব্যাটিং ও বোলিংয়ে এই মুহূর্তে গুরুতর জিজ্ঞাসা আছে আমাদের। কারণ এটা কোনোভাবেই আড়াইশ রানের উইকেট নয়। শেষের ওই ৩০ রানের জুটি না হলে ১৯০ রানে অলআউট হতাম আমরা।’
মায়ার্স থেকে শিক্ষা নিতে বললেন প্রধান কোচ
কাইল মায়ার্স অপরাজিত সেঞ্চুরির ইনিংস খেলে উইন্ডিজকে চালকের আসনে নিয়ে গেছেন। তার থেকে শিক্ষা নিতে বললেন, ‘বাংলাদেশ প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। মায়ার্সের মতো ১২০ রানের ইনিংস খেলতে হবে আমাদের কারও। গত বছর ওরা আমাদের বিপক্ষে ৪০০ রান তাড়া করেছে চট্টগ্রামে, মায়ের্স তখন ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। আমাদের কেউ এখন তেমন বড় ইনিংস খেলতে পারছে না। মায়ার্সকে দেখে শিক্ষা নিতে হবে। টেস্ট ম্যাচ অনেক কঠিন। এরকম ভালো ব্যাটিং করতে না পারলে ভালো দলগুলি শাস্তি দেবে এবং আমাদেরকে এখন সেই শাস্তি পেতে হচ্ছে।’
দ্বিতীয় দিনের চিত্র
প্রথম সেশনের শেষ দিকে বাংলাদেশের দারুণ বোলিংয়ে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে উইন্ডিজ। আশা জেগেছিল তাদের দ্রুত অলআউটের। কিন্তু তাতে ছাই ঢেলে দিলেন মায়ার্স। ব্ল্যাকউডের সঙ্গে জুটি গড়ে কার্যত ম্যাচের নাটাই নিজেদের হাতে নিয়ে নেন। ব্ল্যাকউড ফিরলেও মায়ার্স তুলে নেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। দিন শেষে মায়ার্স ১২৭ ও জশুয়া ২৬ রানে অপরাজিত আছেন। উইন্ডিজের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৪০ রান। লিড দাঁড়িয়েছ ১০৬ রান। আজ সারাদিনে ৫ উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে চার উইকেটের পর তৃতীয় সেশনে ১ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেটের দেখা পায়নি সাকিবের দল। এখানেই পিছিয়ে যায় রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। দুটি করে উইকেট নেন মিরাজ-খালেদ।