বিশেষ প্রতিবেদক : রাহুর প্রভাব থেকে মুক্তি পায়নি নারায়ণগঞ্জের পরিবহন সেক্টর। এখনো চলছে সেই ওসমানিয় রাজত্ব। গেল ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে নারায়ণগঞ্জের পরিবহন মাফিয়া চক্রটি এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে।
জানা গেছে, পরিবহন মাফিয়াদের অন্যতম মুখ, শামীম ওসমানের পরিবহনের ক্যাশিয়ার খ্যাত দিদার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢাল বানিয়েছে। তাই এবার ওসমান রাজত্ব পাহাড়ায় ব্যবহার করা হচ্ছে দলটির কিছু নেতাকর্মীদের। ইতমধ্যে বন্ধু পরিবহনকে সচল রাখতে সকল প্রচেষ্টা সম্পন্ন হয়েছে। তবে বিগত সময়ে ওসমানদের প্রভাব দেখালেও এবার বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেছে চতুর দিদার। আবারো বিগত সময়ের মত পরিবহন সেক্টরে শুরু করেছে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য। এরই ধারাবাহিকতায় চাঁদা না দেয়ায় অন্য মালিকদের বৈধতা থাকলেও তাদের পরিবহন নিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে দিদার ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এমন অভিযোগে বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে ভুক্তভোগী মালিকদের পক্ষে আল আমিন মির্জা। তিনি উল্লেখ করেছেন, র্যাবের ক্রস ফায়ারে নিহত শির্ষ সন্ত্রাসী মমিনুল্লাহ ডেবিড এর ছোট ভাই বিবাদী মাহাবুব উল্লাহ তপন, মোঃ দিদারুল ইসলাম, রুবেল, জাহাঙ্গীরসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন তাদের নানাভাবে হুমকী দিচ্ছে। এমনকি বন্ধু পরিবহন লিঃ এর একজন বৈধ শেয়ার হোল্ডার হওয়া সত্বেও বিভিন্ন ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা সহ চাঁদা দাবী করছে। পুর্বে এমন ঘটনার শিকার হওয়ার উল্লেখিত বিবাদীরাসহ আরো বিবাদীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার মামলাও রুজু করা হয়েছে। তবে আসামীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় বার বার হয়রানী ও হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। যার মামলা নং-০৫, তারিখ-১১/০৯/২০২৪ইং।
তিনি আরো জানান, বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যবহার করে শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী দিদার এখন পরিবহন সেক্টরে ওসমানদের রাজত্ব বহাল রেখেছে। এখনো পুরনো দোসররা এই পরিবহনের টাকায় অপরাধ সংগটিত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আর তার সহযোগী হিসেবে অন্যতম ভূমিকা রাখছে দিদার।
এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে তিনি বলেন, এই দিদারকে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করছে নগরীর স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা সাখাওয়াত ইসলাম রানা। বর্তমানে পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণে রানা যেন বিশেষ ভূমিকায় কাজ করছে। তবে কি কারণে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাকে সহযোগীতা করছে সেটাই বোধগাম্য হয় না। এ নিয়ে দলটি বদনামের ভাগিদার হচ্ছে। শীর্ষ নেতাদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া জরুরী বলে আমি মনে করি।
এদিকে গণমাধ্যমকে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা সাখাওয়াত ইসলাম রানা জানিয়েছিলেন, আমি মালিকদের সাথে সম্পর্কের কারণে কথা বলেছিলাম। আর অনুরোধ করেছিলাম, যেন আমদানীর টাকাগুলো ফেরৎ দেয়। অন্যকিছু না। আর আমি শুধু বাঁধন, গ্রিন ঢাকা পরিবহনেই আছি। আমি শুধু কথা বলেছিলাম, কাউকে হুমকী দেয়নি।