চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে হরতাল পালনকালে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে নেতা কর্মীদের উপর পুলিশ ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) ২২ বিকাল ৫ টায় চাষাড়াস্থ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিন করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলার সমন্বয়ক ও বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নিখিল দাস।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, বিপ্লবী ওর্য়াকার্স পার্টির জেলার সভাপতি মাহমুদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, বিমল কান্তি দাস, আবু হাসান টিপু, মশিউর রহমান রিচার্ড প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে বাম জোটের ডাকা হরতালে মানুষের ব্যাপক সমর্থন ছিলো। চাল ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে মানুষের জীবন দিশেহারা। মানুষের আয় বাড়ে নি, অথচ ভয়াবহভাবে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষরা তাদের খাদ্যের বাজেট কমিয়ে দিয়েছে। সরকার অসৎ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে বাজার ছেড়ে দিয়েছে।
ফলে বাম জোটের এই হরতাল ছিলো যৌক্তিক দাবিতে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ, ঢাকাসহ সারাদেশে এই শান্তিপূর্ণ হরতালে পুলিশ ও আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীরা ব্যাপক হামলা করে নেতাকর্মীদের আহত করে।
নারায়ণগঞ্জে সম্পূর্ণ বিনা উষ্কানিতে সদর থানার ওসি শাহজামানের নেতৃত্বে মিছিলে হামলা চালায়। পুলিশ প্রায় ১৫ জন নেতা কর্মীকে আহত করে। পুলিশের এই হামলা থেকে নারী কর্মীরাও রেহাই পায়নি। হরতাল একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ। সুতরাং এই আন্দোলনে পুলিশী আক্রমন কাম্য নয়।
নেতুবৃন্দ আরোও বলেন, বর্তমান সরকার দেশবাসীকে একটা পুলিশী রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। জনগনের সাংবিধানিক অধিকার সভা-সমাবেশ-মিছিলের অধিকারও পুলিশ খর্ব করছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কালো আইন জারি করে রেখেছে।
নেতৃবৃন্দ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশী আক্রমনের নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং আক্রমনকারী পুলিশ ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করেন।