রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

সুযোগবাদী সোনারগাঁ কাঁঠালিয়া পাড়ার ‘সেলিম সরকার ‘আওয়ামীলীগের পা চাঁটা গোলাম থেকে সুবিধার লোভে বিএনপিতে

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫.৪১ এএম
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী সরকারের পতনের পর নারায়ণগন্ঞ্জের ভোল পাল্টানোর হিড়িক পড়েছে। যারা কিনা আওয়ামীলীগ সম্রাজ্যের ফ্রন্ট লাইনের কাতারে থাকতো তারা ও এখন নিজেরদের বৈষম্যের শিকার হয়েছে বলে দাবি করেন। এতদিন আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে একই টেবিলে বসে নান আর গ্রিল খেয়ে ১৩০ টাকা বিল দিয়েই ফেসবুকে বড় করে পোস্ট দেওয়া সুবিধাবাদী লোক গুলো এখন বিএনপির নামে অপকর্ম করার ফাঁদ পেতেছে।এমন একজন সুবিধা পার্টি প্রমানিত সেলিম সরকার (সাঈদ আহাম্মেদ সরকার)(৫০)
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১ মাস আগের তার ফেসবুক আইডিতে খুব আনন্দ উল্লাসে একটি ছবি প্রকাশ করেন যেখানে স্পষ্ট দেখা যায় আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগ এর সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো:জাকির হোসেনকে নিয়ে একান্ত আলাপচারিতায় সে পোস্ট করেছেন।
কিন্তু গত ৫ই সেপ্টেম্বর পর থেকেই তার আসল রুপ যেন গিরগিটির মতো পরিবর্তন হতে থাকে। বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা বাজী, দখলদারি, নির্যাতন, জুলুম যেন তার প্রতিদিনের নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। তবে এই ঘৃন্য পরিকল্পনা তার সফল হয়নি। এলাকাবাসী ও তার নির্যাতনের শিকার সাধারন মানুষ তার ভয় কাটিয়ে একের পর এক অপরাধের পর্দা ফঁাস করছেন গণমাধ্যম কর্মীর সামনে।

গত ৪ই সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ৯:০০ ঘটিকায় সেলিম সরকারের নির্যাতনের শিকার হন নয়াপুর আদর্শ সুপার মার্কেট সমিতির উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান (৬৫)ও সহ-সভাপতি খন্দকার রাশেদুল ইসলাম শামীম (৪০)
ঘটনাটির সূত্রপাত হয় নয়াপুর নির্মানাধীন আর্দশ সুপার মার্কেটকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ নয়াপুর এলাকায় ১৫১ জন সদস্য মিলে প্রত্যেক সদস্যরা তাদের পরিশ্রমের শেষ সম্বল একত্রিত করে নয়াপুর বাসস্ট্যান্ডে কিছুটা দূরত্বে তারা যৌথভাবে ১৬০শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যাতে তাদের সূদুর ভবিষ্যতে সন্তান ও পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে না পরে। এই জমির টাকার যোগাড় করতে অনেকে তাদের স্ত্রীর গহনা বিক্রি করেছেন, কেউবা গ্রামের পালন করা গরু ছাগল বিক্রি করেছেন, অনেকে আছেন যারা বিদেশের মাটিতে ঘাম ঝরিয়ে কষ্ট করে টাকা উপার্জন করেছেন তারা তাদের সর্বস্ব দিয়ে এই জমিতে বিনিয়োগ করেছেন। এবং তারা সঠিক নিয়ম মেনে জমির দলিল, খারিজ নামা,সময় মতো কর প্রদান করছেন। কিন্তু তারা সকল আইন সকল আইন শৃঙ্খলা মেনে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাদের মালিকানাধীন জমিতে ভবন করতে গেলে সেলিম সরকার তার সন্ত্রাসী দল নিয়ে এসে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু মার্কেট কমিটির উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান চাঁদা দিবে না বলে সরাসরি জানিয়ে দেন। এরই পরিপেক্ষিতে সেলিম সরকার তাকে বেধরক মারধর করতে থাকেন আতিকুর রহমান ৬৫ বছর বয়সী একজন বয়োজ্যেষ্ঠ লোক তার দাড়ি ধরে টেনে হিচড়ে চামড়া সহ দাড়ি তুলে ফেলেন ও সেলিমের ছেলে সালমান সরকার বাঁশ দিয়ে পেটাতে থাকেন। এমতাবস্থায় সভাপতিকে বাঁচাতে কমিটির সহ-সভাপতি খন্দকার রাশেদুল ইসলাম শামীম তাদের মারামারি থামাতে যান কিন্তু সেলিম সরকার ও তার ছেলে মিলে খন্দকার রাশেদুল ইসলাম শামীমকে মেরে তার বুকের হাড় ভেঙে ফেলেন এবং চোখ রক্তাক্ত করে। তারা নিজের বাঁচাতে মার্কেট সমিতির অফিসে ঢুকলে বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু ভুক্তভোগীরা ৯৯৯ এ কল করাতে তৎক্ষনাৎ পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করেন এসময় সেলিম সরকার ও তার ছেলে সালমান সরকার পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা। সেলিম সরকার যে তাদের উপর হামলা করেছেন সে প্রমান স্বরুপ ভুক্তভোগীরা সিসি ফুটেজ ও মোবাইল ধারনকৃত ফুটেজ সংযুক্ত করেছেন। এছাড়া ও এই অভিযোগ সত্য প্রমানিত হওয়ায় সেলিম সরকারকে বিএনপির দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
এছাড়া এলাকাবাসীর সাক্ষাৎকার নিয়ে জানা যায় সেলিম সরকার বিভিন্ন দোকান থেকে খাবার বাকি নিয়ে আর তা শোধ করেন না, টাকা চাইলে দোকানদারকে মারধর করেন। এছাড়া ও এলাকার দোকান থেকে প্রতিদিন চাঁদা তুলে নিয়ে যায় যে তার মুখের উপর কথা বলেন তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়।সেলিম সরকারের নামে বিভিন্ন থানায় ২০ টির অধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তার নিজের স্ত্রী কতৃক হওয়া নারী নির্যাতন মামলা। গত কিছু বছর আগে সে তার স্ত্রীকে মারধর করে অর্ধমৃত অবস্থায় পাটিতে মুড়িয়ে রাস্তায় ফেলে যান তখন পুলিশ মহিলা উদ্ধার করেন ও মামলা দায়ের করা হয়।এছাড়া এলাকার সাধারন মানুষকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাদের জমি, বাড়ী দখল করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
এলাকার স্হানীয় মুরব্বিরা জানান যে, এলাকার মাদকাসক্ত যুবকদের নেতৃত্ব দেন সেলিম বাহিনী শুধু তাই নয় পরোক্ষভাবে মাদক ব্যবসায় জড়িত আছে বলে এলাকাবাসী জানান। এখানেই শেষ নয় চুরি, ছিনতাই ও রাতের আধারে ডাকাতির মতো ভয়ংকর সকল অপরাধের সঙ্গে জরিত আছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তবে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে নির্যাতনের জোর জুলুমের শিকার হয় বলে জানান সাধারন মানুষ। এলাকাবাসীর দাবি সেলিম সরকারের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।তারা সেলিম সরকার ও তার দলের বিচার চায়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort