“১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের ওপর অত্যাচার করেছিল। আমরা দেখেছিলাম ’৭৪ সালে কী ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। এসব কাটাতে না পেরে ’৭৫ সালে তারা বাকশাল করেছিল। তখন পত্রপত্রিকা বন্ধ করো দেওয়া হয়েছিল। মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। এ সরকার গণতন্ত্রের লেবাস পরে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করেছে।”
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা এত বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, অন্যায় করেছে যে আজ আমেরিকা র্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সাতজন কর্মকর্তা যাদের মধ্যে আমাদের পুলিশ প্রধানও আছেন তাদের আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এদের বরখাস্ত করা উচিত ছিল। কয়েকদিন আগে আবারও দুজনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, এ সমস্যাগুলো দূর না করলে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা ভারতের কাছে সহায়তা চাইবেন। ধিক্কার জানাই তাদের। এ সমস্যা যারা তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তারা ভারতের কাছে সাহায্য চাইছে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রতিবছরই কয়েকবার করে গ্যাস-তেলের দাম বাড়ানো হয়। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পরিকল্পিতভাবে মূল সংবিধান পাল্টে দিয়ে তারা স্বৈরতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জের সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। তার বাঁচার কথা ছিল না। উদ্দেশ্য একটাই, আওয়ামী লীগের শাসনকে চিরস্থায়ী করা। এখানে কেউ ভিন্ন মতও প্রকাশ করতে পারবে না। এটাই আওয়ামী লীগের মূল উদ্দেশ্য।’