নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়াম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন- সন্ত্রাস, অপরাজনীতি নারায়গঞ্জের দাবী চিন্তা-চেতনা বাস্তবায়নের জন্য সব সময় মাঠে ছিলাম। নারায়নগঞ্জে ত্বকী হত্যাসহ যে সকল হত্যাকান্ড হয়েছে সে সমস্ত হত্যার নিন্দা জানিয়েছিলাম প্রতিবাদ করেছিলাম, মিছিল করেছিলাম।
যারা অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায় তাদের বাসায় বোমা নিক্ষেপ হয়। মাসুম (নারায়নগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাবেক সভাপতি) সত্য কথা বলেন বলেই তার বাসায় বোমা নিক্ষেপ হয়। প্রশাসনকে বলবো যারা এই কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
শনিবার (১২ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ সরকারি গ্রন্থাগারে ‘আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী’ ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা তিন বছর পর জাতীয় ও আন্তার্জাতীক ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো। নারায়ণগঞ্জে মাটিতে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ হবে না এটা হতে পারে না। সেদিন অনেক বড় বড় নেতারা রাস্তায় নামতে সাহস পায় নাই। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি বলেই সেদিন প্রতিবাদ করতে গিয়ে জেলে ঢুকতে হয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর নারায়ণগঞ্জকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য নিজের জানকে বাজি রেখে রাস্তায় বের হয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দাবি করেছিলাম। উদ্দেশ্য ছিলো নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের জন্ম, নারায়ণগঞ্জ থেকেই প্রথম হত্যার প্রতিবাদ করতে হবে। জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের ২৫ বছর কারাভোগ করছেন। বার বার ফাঁসির মঞ্চে দাড়িয়ে বাঙ্গালি স্বার্থের কথা বলছেন।
ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনে সভাপতি নূর উদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়াম্যান মো আনোয়ার হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো ফজলুল হক রোমন রেজা, দৈনিক ইয়াদের সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন।