নবীজি বলেছেন শ্রমিকদের গায়ের গাম শুকিয়ে যাবার পূর্বে তার শ্রমের মজুরি তাকে পরিশোধ করতে কিন্ত এই ফতুল্লাতে এমন একজন টুপি, দাড়িওয়ালা, তজবি গোনা বড় মাপের শ্রমিক নেতা আছে যিনি শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা কখনো বুঝিয়ে দেয়না।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে ফতুল্লায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ওনার্স এসোসিয়েশন ফতুল্লা ডিপো (যমুনা-মেঘনা) শাখা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য প্রদানকালে মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, নিরীহ শ্রমিকদেরকে কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মিছিলে নামিয়ে দিয়ে রাতের অন্ধকারে গিয়ে আবার মালিকদের সাথে গোপনে বৈঠক করে নিজ স্বার্থ আদায় করে। নিরীহ শ্রমিকরা লাশ হলে সেই লাশ নিয়ে আবার মিছিল করে।
শ্রমিকদের লাশকে পুঁজি করে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটালেও আজ পর্যন্ত সেই নেতার বদৌলতে কোন একজন শ্রমিকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি। শ্রমিদের ভাগ্য উন্নয়নের বড় বড় কথা বললেও কাজের কাজ কিছুই করেন না।
তিনি আরো বলেন, শ্রমিক নেতা নয় কোন সমস্যা হলে মালিকদের সাথে কথা বলে নিজেদের সমস্যা সমাধান করেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ফতুল্লার পঞ্চবটিস্থ যমুনা-মেঘনা ডিপোর শাখায় এ অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশন ফতুল্লা ডিপো (যমুনা ও মেঘনা) শাখার সভাপতি মীর সোহেল আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেন,একজন যোগ্য ও সকলের জন্য প্রতিনিধিত্বকারী একজন লোক খুঁজে পেলাম।আল্লাহ মনে হয় আমাদের সেই লোকেরই সন্ধান দিয়েছে আমাদের শ্রমিক ভাইদের।বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার এসোসিয়েশন ফতুল্লা ডিপো(যমুনা ও মেঘনা) শাখার কমিটির জন্য যখন আমার কাছে ওনার নাম যায় আমি ব্যক্তিগতভাবে তার খুঁজ নিয়েছি।
উনি একজন নিরহ ও সকলের জন্য আত্ম নিবেদিত প্রান।সেই লক্ষ্যে মালিকদের কথাও চিন্তা করবে,শ্রমিকদের কথাও চিন্তা করবে। তাই আমরা মীর সোহেল ভাইকে নির্বাচিত করেছি কারন বাংলাদেশের লাইফ লাইন তেলে কৃষি কাজ,ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজ সহ সকল কাজে এমন একজন ব্যক্তির দরকার যে শ্রমিকদের কথাও চিন্তা করবে মালিকদের কথাও চিন্তা করবে এবং ব্যবসায়ীদের কথাও চিন্তা করবে।আমাদের শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আমরা সরকারের সাথে ইতিমধ্যে কথাও বলেছি।
তিনি আরো বলেন,আমাদের শ্রমিকরা যখন হরতাল করেছিলো তখন জ্বালানী উপদেষ্টা আমাদের দ্রুত মিটিংয়ে পাঠিয়ে বলেছিলো ওদের কথা শুনো।ওদের দাবী দাওয়া পূরনের চেষ্টা করো এবং হরতাল পরিহার করতে বলো।আমরা তার কথায় কালবিলম্ব না করে সাথে সাথে কথা বলেছিলাম।আপনেরা জানেন জ্বালানী প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব মন্ত্রনালয়ের অধীনে।
উনি নিজেই এটার সাথে অপতৎপর। আর আমাদের সাথে সরকারের লোক।সম্পৃক্ত হওয়ায় আমরাও সরকারের বিরুদ্ধে যেতে চাই না নিজেদেরও ক্ষতি করতে চাই। আমরা চাই আমাদের মালিক ও শ্রমিকদের জন্য কাজ করতে।
সভাপতির বক্তব্যে মীর সোহেল আলী বলেন, আমরা শামীম ওসমানের সৈনিক। আমরা মাঠে নেমে নিজেদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করি। কখনো অন্যায়ের সাথে সমঝোতা করি না। আমরা শ্রমিকদের মাঠে নামিয়ে দিয়ে রাতে গোপন টেবিলে অর্থ লেনদেন করি না। আমরা আমাদের মাঝেও কোন দুষ্টু মানুষও রাখি না। কারন কথায় আছে না দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো।
বক্তব্য শেষে অতিথিদের মাঝে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয় এবং কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সম্মাননা প্রদান করে নতুন কমিটিকে বরণ করে নেওয়া হয়।
সংগঠনের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ হুমায়ন জাকির মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেম নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার ডিস্ট্রিবিউটস, এজেন্ট এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন কেন্দীয় কমিটির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যাংকলরি শ্রমিক ফেডারেশন (রেজি: ২১০০) সভাপতি হাজী মো. সাজাহান ভূঁইয়া, সভাপতি (রেজিঃ ১৭৫৩) মো. আব্দুল মতিন মুন্সি, সাধারন সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, কার্যকরী সভাপতি যমুনা অয়েল কোম্পানি লেবার ইউনিট (সিবিএ) মো. জয়নাল আবেদীন টুটুল, সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন মেহেদী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রুবায়েত আহম্মেদ, বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশন মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ প্রমূখ।