এমভি সাবিত আল হাসান ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যুর ঘটনার করা মামলার অভিযোগপত্রে ১৪ আসামির মধ্যে ১১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এতে বাদী পক্ষের কোন আপত্তি আছে কি না? জানতে চেয়েছে আদালত।
বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আমলি আদালত (ঘ) অঞ্চলের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুর রহমানের আদালত থেকে এ আদেশ দেন। এরপর আসামী পক্ষ সময় চাইলে পরবর্তী শুনানী ২৬ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগপত্রে কোন আপত্তি আছে কি না, জানতে চেয়ে বাদীকে নোটিশ করা হয়েছে। আসামী পক্ষ সময় চাইলে ২৬ এপ্রিল পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
গত বছরের ৪ এপ্রিল বিকেল ৫টা ৫৬ মিনিটে ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এমভি সাবিত আল হাসান লঞ্চ মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথে ৬টা ১৫ মিনিটে লঞ্চটি শহরের কয়লাঘাট এলাকায় তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু অতিক্রম করার সময় পেছন থেকে এসকেএল-৩ কার্গো ধাক্কা দিয়ে লঞ্চটিকে ডুবিয়ে দেয়। ডুবে যাওয়া লঞ্চের ৪৫ যাত্রীর মধ্যে কিছু যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ২ শিশু, ১৭ নারীসহ ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপপরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) বাবুল লাল বৈদ্য বাদী হয়ে মামলা করেন। গত ৯ ডিসেম্বর গোপনে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইউনুস মুন্সী।
অভিযোগপত্রে যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন কার্গো জাহাজটির মাস্টার ওহিদুজ্জামান (৫০), সুকানি আনোয়ার মল্লিক (৪০) ও ইঞ্জিন ড্রাইভার মো. মজনু মোল্লা (৩৮)। অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কার্গোর গ্রিজার হৃদয় হাওলাদার, ফারহান মোল্লা, সুকানি নাজমুল মোল্লা, লস্কর রাজিবুল ইসলাম, মো. আবদুল্লাহ, নুর ইসলাম, সাকিব সরদার, মো. আফসার, সাগর হোসেন, আলিফ শেখ ও বাবুর্চি আবুল বাসারকে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ যাত্রী পরিবহন সংস্থার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, কার্গো জাহাজের মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁকে সম্পৃক্ত না করে শুধু মাস্টারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীর মামলা না নিলেও মামলা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। তারা সাজানো মামলায় আসামীদের মুক্তকরে নিয়ে যেতে চাইছেন। তাই সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় আছে।