রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জের শীতল্যা নদীর পৃথক দু’টি স্থান থেকে উদ্ধার হওয়া নারী ও পুুরুষের লাশের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন: শহরের পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত গণেশ ঘোষের স্ত্রী তাপসী রানী ঘোষ (৪৫) এবং ১ নম্বর বাবুরাইল এলাকার মৃত দীনু চৌধুরীর ছেলে রোহান চৌধুরী (২০)। এই ঘটনায় থানায় হত্যা ও অপমৃত্যুর পৃথক দু’টি মামলাও হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান বলেন, নিহত তাপসী রানীর ভাই ননী গোপাল ঘোষ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। তাপসী রানীকে অজ্ঞাত আসামিরা হত্যার পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন বাদী। রোহান চৌধুরী নিহতের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। দু’টি লাশেরই নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে ননী গোপাল ঘোষের দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাপসী রানী ঘোষ। এই ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। বিধবা এই নারী শহরের পালপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় একমাত্র কিশোর সন্তান পিয়াস ঘোষকে (১২) নিয়ে বসবাস করতেন। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল থাকার কারণে ভাইরা তাকে সহযোগিতা করতেন। ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে নৌ থানা পুলিশের মাধ্যমে ননী ঘোপাল ঘোষ তার বোনোর লাশ উদ্ধারের কথা জানতে পারেন।
এদিকে স্বজনদের বরাতে নারায়ণগঞ্জ নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম জানান, নিহত রোহান চৌধুরী শহরের একটি হোসিয়ারি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। ৪ দিন পূর্বে থেকে সে নিখোঁজ ছিল। এই ঘটনায় থানায় জিডিও করেছিলেন স্বজনরা। ২৬ জানুয়ারি সকালে অর্ধগলিত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন না পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করে। পরে রাত দশটার দিকে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়।
গত ২৬ জানুয়ারি সকালে শীতল্যা নদীর হাজীগঞ্জ ফেরিঘাট ও একরামপুর এলাকা থেকে তাপসী রানী ও রোহানের লাশ উদ্ধার করা হয়। নারায়ণগঞ্জ নৌ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক ফোরকান মিয়া জানান, শীতল্যা নদীতে দুই স্থানে দুইটি লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে জানায়। পরে নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশ দুইটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এর মধ্যে নারীর মরদেহের পায়ে ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে যুবকের শরীরের কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে তাদের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।