সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য অভিশাপ বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তিনি বলেন, ‘ওসমান পরিবার আজ পালিয়ে গেছে। তারা নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে। শামীম ওসমান ত্বকী হত্যায় জড়িত। তখন নারায়ণগঞ্জে যত খুনের ঘটনা ঘটেছে, এর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন শামীম ওসমান।’
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি দক্ষিণপাড়া দশপাইপ এলাকায় এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘রাষ্ট্র সংস্কারে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা এবং মহানগর কমিটি ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাশেদ খান।
শামীম ওসমান কীভাবে পালিয়ে গেলেন- এমন প্রশ্ন রেখে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পালিয়ে যেতে কীভাবে, কারা তাকে সহযোগিতা করেছেন? শামীম ওসমানকে অনতিবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ২০১৮ সাল থেকে সংগ্রাম করে যাচ্ছি। ২০১৮ সালে আমরা কোটা সংস্কার আন্দোলন সফল করেছিলাম। আজকের এই গণঅভ্যুত্থানের বীজ, সেই বীজ কিন্তু আমরাই বপন করেছিলাম। সেই বীজ আজ বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। আমরা ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত একটানা লড়াই করেছি। এ লড়াই করতে গিয়ে আমাদের অনেক ভাই শহীদ হয়েছেন। আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তাদের রক্তের কারণেই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।’
শুধু গণপরিষদ নয়, বিএনপির ৪২২ জন্য শহীদ হয়েছেন জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, ‘ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৫২ জন শহীদ হয়েছেন। ছাত্রদলের শতাধিক শহীদ হয়েছেন। তাদের নেতারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, আহত হয়েছেন। এখন আমাদের সময় এসেছে সবাই একসঙ্গে কাজ করার। এ বাংলদেশে ঐক্য এবং সংহতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই বাংলাদেশে হানাহানি, বিদ্বেষ, হিংসা, দুর্নীতি, ঘুস থাকতে পারে না।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাহিন হাওলাদার, উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সমন্বয়ক শাকিল উজ্জামান, গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান মিল্কি, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নাহিদ হাসান প্রমুখ।