নারায়ণগঞ্জ জেলার চাষাড়ার শহীদ মিনারের বিপরীত পাশে সমবায় মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ” কাইটস কোবির আইটি সলিউশন” মানুষের প্রতারনার একটি বাসা বেঁধে নিয়েছে। ল্যাপটপ ঠিক করার নামে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে দীর্ঘদিন যাবত প্রতারণা করে আসছে, তেমনি মোঃ শামীম হোসেনের পছন্দের ল্যাপটপ চলতে চলতে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, এই সমস্যা নিয়ে উক্ত দোকানে গেলে প্রথমে তারা বলে 500 টাকা দিলে ঠিক হয়ে যাবে, আপনি দুই ঘন্টা পরে এসে নিয়ে যাবেন, দুই ঘন্টা পরে আসলে বলে এটা ৫০০ টাকা দিলে হবে না ,১৫০০ টাকা দিতে হবে তখন ল্যাপটপ ফেরত চাইলে, বলে আরো দুই ঘন্টা পরে এসে নিয়ে যেতে হবে, আমরা খুলে রেখেছি লাগিয়ে দিব ,পুনরায় একদিন পড়ে আসলে ল্যাপটপ ঠিকমতো চালু হয় না। তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলে বলে ১৫০০ টাকা দিলে ঠিক হয়ে যাবে , নিরুপায় হয়ে বিশৃঙ্খলার ভয়ে বলে ঠিক আছে ঠিক করে দিন। বলে টাকা দিয়ে যান তিনদিন পরে এসে নিয়ে যাবেন, তিনদিন পরে আসলে বলে আপনি আমাদের মালিকের সাথে ফোনে কথা বলেন ,মালিকের সাথে ফোনে কথা বললে বলে সে আমার সহকারি ,সে না বুঝে আপনার ল্যাপটপটা ধরেছে এখন আমি দেখতেছি আমাকে কিছু সময় দিতে হবে ।আপনি আরও তিনদিন পরে আসেন, এভাবে ঘুরাতে ঘুরাতে সব মিলিয়ে ছয় মাস পার করে ফেলে সর্বশেষ 23 ই অক্টোবর বিকাল 5 ঘটিকার সময় তাদের সঙ্গে কথা বলে ল্যাপটপটা হয়েছে ?বলে এক ঘন্টা সময় লাগবে, পরে এক ঘন্টা পরে ল্যাপটপটা আনতে গেলে ,এখন আর ল্যাপটপ চালু হয় না! প্রথমে ল্যাপটপটি চলতে চলতে বন্ধ হয়ে যেত, আর এখন বলে ল্যাপটপটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে, টাকা ও গেল! ল্যাপটপও গেল! আশপাশের কয়েকজন দোকানদারদের সাথে আলাপ করে জানতে পারলাম এইভাবে অনেক কাস্টমারদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত এই কাইটস কোবির আইটি সলিউশন প্রতারণা করে আসছে, তাদের সাথে উচ্চবাচ্য কথা বলার চেষ্টা করলে তারা বিভিন্ন নেতা কর্মীর ভয় দেখায়, গোপন সূত্রমতা জানা গেছে এরা চোরাই ল্যাপটপ ও কেনা বেচা করে, কর্মচারী শিশির ও দোকানের মালিক কোবির হোসেন এরা দুজনে মিলেই চোরাই কারবারের সাথে জড়িত থাকতে পারে আশপাশের কিছু দোকানদার ও কিছু ভুক্তভোগী জানিয়েছে , কোবির হোসেনের সাথে ফোনে কথা বললে ,সে দুঃখ প্রকাশ করে , চোরাকারবারি সাথে জড়িত অস্বীকার করে ।