নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে ৫নং ওয়ার্ডে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সদস্য (মেম্বার) তাওলাদ হোসেনের শ্যালক আব্দুর রশিদ মোল্লা (৩২) কে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না সোহেলকে (ভিপি সোহেল) প্রধান আসামি করে তার দেহরক্ষীসহ ৩২ জনকে আসামী করা হয়েছে।
রোববার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে নিহতের বড় ভাই মো. হানিফ মোল্লা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। নিহত আব্দুর রশিদ মোল্লা উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল মোল্লার ছেলে। গত শনিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মীরকুটিরছেও চৌরাস্তায় ঘটনাটি এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত ভিপি সোহেলের সহযোগী মিরকুটিরছেঁও গ্রামের আইয়ুব ভূঁইয়া, সোয়াইব ভূঁইয়া, শাহীন ভূঁইয়া, অপু মিয়া ও রহমত আলী নামে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়িক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাহরিয়ার পান্নার সঙ্গে তাওলাদ হোসেনের বাক-বিতণ্ডা হচ্ছিল। এক পর্যায়ে শাহরিয়ার পান্নার নির্দেশে মামলার আসামিরা তাওলাদ হোসেন, মামলার বাদী হানিফ মোল্লাসহ তাওলাদের লোকজনকে মারধর করতে থাকেন।
এ সময় তাওলাদের শ্যালক আবদুর রশিদ তাদের বাধা দিতে গেলে ভিপি সোহেলের দেহরক্ষী জসিম উদ্দিন রশিদের ডান হাতে এবং সিরাজ ও রাসেল নামে ভিপি সোহেলের দুই সহযোগী কাটা রাইফেল দিয়ে রশিদের দুই পায়ে গুলি করেন।
একই সময় শাহরিয়ার তার সহযোগী গুলজারের হাত থেকে শর্টগান কেড়ে নিয়ে রশিদের মাথায় গুলি করলে ঘটনাস্থলে তিনি লুটিয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামি ভিপি সোহেল ও তার দেহরক্ষী জসিম উদ্দিন এলাকা ছেড়েছে পালিয়েছেন বলে জানান নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) আবির হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি।