নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান বলেছেন, আপনাদের আমি বলেছিলাম যে মাস্ক পরবে না তার কাছে সদাই বিক্রি করবেন না। আপনারা প্রতিটা দোকান যদি এই উদ্যোগ নেন যে আমরা মাস্ক ছাড়া পণ্য বিক্রি করবো না, তাহলে সকলেই সুরক্ষিত থাকতে পারবো।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে নাসিক ১৮ নং ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমান টিকা কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসকল কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আপনাদের এলাকা এমন এলাকা, দেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখান থেকে লোক আসে না এখানে। সুতরাং এই এলাকাটা ঝুঁকিপূর্ণ। আপনারা দেখবেন আমাদের জেলা প্রশাসক ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমান টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আজকে আমরা সৌভাগ্যবান আমরা এমন একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি। আমরা যখন টিকার কথা চিন্তা করিনি তখন তিনি টিকা কেনার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। আমরা প্রথম অবস্থায় ভারত থেকে টিকা নিয়েছিলাম। ভারতে করোনা বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দ্বিতীয় দফার টিকাটা আসতে দেরি হয়ে গেছে। যার কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিজেদের দুই ভাবে সেফ করতে পারি। একটা হচ্ছে আমাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, আরেকটা হল আমাকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আমার মতো সাবধানতা কেউ অবলম্বন করেনি। আমার বাড়িতে কেউ ঢুকতে পারত না। আত্মীয়দের ফোন করে মানা করে দিয়েছিলাম আসতে। নিচে থেকে কেউ ওপরে উঠতে পারবে না। তারপরেও আমার বাসায় পাঁচ বছর থেকে শুরু করে চল্লিশ বছর পর্যন্ত ছয়জন করোনা আক্রান্ত। এটা কীভাবে আসে আমরা খুঁজে বের করতে পারছি না। এটা হয় সামনা সামনি আসে নয়তো কোনো প্যাকেটের মাধ্যমে। আমার বাড়িতে আমি শিওর হয়েছি এটা প্যাকেটে এসেছে। এছাড়া বড় কোনো অনিয়ম আমার বাড়িতে হয়নি। সুতরাং শাক সবজি যাই নেন সরাসরি ঘরে নিয়েন না।
করোনা যখন ছিল তখন মানুষের কী অবস্থা হয়েছিল আমরা জানি। মানুষের ঘরে চাল ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি যেন খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিার নির্দেশে আমরা বাড়ি বাড়ি চাল, ডাল ও নগদ টাকাও পৌঁছে দিতে পেরেছি। আমাদের অবস্থা যদি আমরা ভালো রাখতে চাই তাহলে সকলকে সাবধান হতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমান ও নাসিক ১৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না।