আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেরেছেন। কেউ কী নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত জানতেন আজমত হারবেন? আসলে এখন আওয়ামী লীগের সর্বনাশ করার জন্য কোনও দলের দরকার নেই, আওয়ামী লীই যথেষ্ট। বিএনপিও এর থেকে বেশি দূরে নেই। আজমতকে হারানো দরকার ছিল। তাই আওয়ামী লীগের লোকেরাই জাহাঙ্গীরের মায়ের পক্ষে ছিলেন।
গত কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে নানা কথা চলছে উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি বলছে সরকারকে চাপে ফেলার জন্য এমন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আবার আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপিকে সোজা করার জন্য এই ভিসা নীতি। অথচ তারা একবারও ভাবে না, এতে শুধু তাদের ক্ষতি নয়, বরং সারা দেশের মানুষের ক্ষতি হলো। আমাদের সম্মান নষ্ট হলো, জাতিগতভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। অথচ জনগণের কথা না ভেবে নিজেদের কথা ভাবছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
শুক্রবার (০২ জুন) দুপুরে গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ড. কামাল হোসেনের জোটে যাওয়া উল্লেখ করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি, বিএনপিকে আরও ১০০ বছরে যতটা না চিনতে পারতাম, জোটে গিয়ে মাস তিনেক আগেই ততটা চিনতে পেরেছি। বিএনপি কোনও রাজনৈতিক দল নয়। বিএনপি হলো খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দল। যদিও এখন বিএনপিতে খালেদা জিয়ার তেমন অবস্থান নেই। এখন পুরোটাই তারেক রহমানের দল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনের জোটের সঙ্গে গিয়েছিলাম। ড. কামালকে নেতা বলে মানতাম। মনে হয়েছিল আমার চেয়েও বঙ্গবন্ধুর বড় ভক্ত। সেজন্য তার জোটে গিয়েছিলাম। কিন্তু যাওয়ার মাসখানেক পর মনে হয়েছে কামাল হোসেন নেতৃত্ব দেন না, শুধু জোটে সময় কাটান। তিনি বড় মানুষ, মেধাবী মানুষ, বিখ্যাত আইনজ্ঞ। কিন্তু জোটের নেতা নন। সেজন্য সবার পরে জোটে গিয়ে সবার আগেই জোট ছেড়েছিলাম।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বীর প্রতীক, কেন্দ্রীয় সদস্য ফেরদৌস আলম ও কেন্দ্রীয় যুব আন্দোলনের নেতা হাবিবুন নবী হোসেল।