টালিউড অভিনেত্রী ঋতিকা সেন রাজনীতিতে আসছেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে হঠাৎ করেই আলোচনায় আসেন অভিনেত্রী। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে নাকি শাসক দলের হয়ে লড়তে পারেন তিনি। আজকের তৃণমূলের সমাবেশমঞ্চ থেকেও আসতে পারে ঘোষণা—এমনটিই গুঞ্জন চলছে।
এর আগে বাংলা বিনোদন জগতের তারকারা একাধিক লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন । অনেকে ভোটে জিতেছেন, আবার অনেকে পারেননি। সফলদের তালিকায় ছিলেন অভিনেতা দেব, মিমি চক্রবর্তী, সোহম চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, নুসরাত জাহান থেকে রাজ চক্রবর্তী।
অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, নুসরাত শাসক দলের সাবেক সংসদ সদস্য। রচনা ব্যানার্জি নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য। দেব এখনো সংসদ সদস্য পদে রয়েছেন। বিধায়ক ও কাউন্সিলর পদেও একইভাবে টালিউডের জয়ী প্রার্থীরা রয়েছেন। সে তালিকায় নতুন সংযোজন কি ঋত্বিকা?
এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে ঋত্বিকা বলেছিলেন— এমনও দিন গেছে দলের ৪০টি প্রচারে টানা যোগ দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী যখন ডেকেছেন তখনই সাড়া দিয়েছি। ফলে সেই জায়গা থেকে এ ধরনের ভুয়া খবর ছড়িয়েছে। আবার সেই গুঞ্জন মাথাচাড়া দিয়েছে।
এবার শোনা যাচ্ছে, আজকের মঞ্চে নাকি তার হাতে নতুন দায়িত্বভার তুলে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনিই নাকি নতুন মুখ। অভিনেত্রী এর আগে জানিয়েছিলেন, রাজনীতিতে আসার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
ঋত্বিকার কাছে আবারও জানতে চাওয়া হয় হলে অভিনেত্রী মৃদু হেসে বলেন, গুঞ্জন আমি ছড়াইনি। আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। ফলে কী করে জানব কেন এ রকম গুঞ্জন বারবার ছড়াচ্ছে?
তিনি বলেন, তিনি মত বদলাননি। আগেও যা বলেছেন এখনও তাই-ই বলবেন। তিনি রাজনীতিতে আসছেন না। তিনি বিজ্ঞাপনী ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত। তবে রাজনীতি থেকে দূরত্ব রাখতে চাইছেন।
ঋত্বিকা বলেন, রাজনীতি বুঝি না। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার মতো বয়সও আমার হয়নি। তারপরও যদি কোনো দিন সুযোগ আসে অবশ্যই বিবেচনা করব।