নিজস্ব প্রতিবেদক : ফতুল্লায় ভাড়াটিয়ার অবৈধ সম্পর্কে বাধা দেয়ায় হামলার শিকার হয়েছে বাড়ির মালিক সবুজ। মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম মাসদাইর পাঁচতলার মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী সবুজ।
অভিযোগে বিবাদী করা হয়েছে, ১। সুমন ওরফে ভাগিনা সুমন (৩৮), ২। বাশ মামুন (৫২), উভয়ের পিতা আজহার মিয়া। ৩। স্বপন (৪০), পিতাঃ সুরুজ মিয়া, ৪। বাপ্পি (২৬), (৩নং বিবাদীর ভাগিনা), পিতাঃ মিনারুল, ৫। রমজান মিয়া (২৬), পিতা আনিছ। এরা সকলে পশ্চিম মাসদাইর পাঁচতলার মোড় এলাকার বাসিন্দা। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
অভিযোগ জানা যায়, উল্লেখিত ৫নং বিবাদী গত কয়েক দিন যাবৎ আমার বাড়ির ভাড়াটিয়া- সোহাগীকে (২০), প্রেমের ফাঁদে ফালাইয়া আমার বাড়িতে আসিয়া আমার উক্ত ভাড়াটিয়ার সহিত অবৈধ সম্পর্ক করিতে থাকে। বিষয়টি বাড়ির মালিক সবুজ জানতে পেরে গত ০৮ অক্টোবর ১০টায় ৫নং বিবাদী- রমজান ও তার বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহাগী কে ডেকে মাসদাইর পাঁচতলার মোড়ে থাকা অফিসে বসে স্থানীয়ভাবে সামাজিকতার মাধ্যমে তাহাদের উভয়ের বৈধ সম্পর্ক নিরসনকল্পে বিবাহ নিয়া আলোচনা করা হয়। কিন্তু বিবাদী রমজানের নির্দেশে ১, ২, ৩ ও ৪নং বিবাদীরা সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা বিভিন্ন লোহার রড, পাইপ সহ বিভিন্ন লাঠি সোঠা নিয়া বেআইনী জনতাবদ্ধে অনধিকারে আমার অফিসে প্রবেশ করিয়া আমার ওপরে অতর্কিতভাবে হামলা শুরু করে। ১, ২, ৩ ও ৪নং বিবাদীগণ তাহাদের হাতে থাকা লোহার রড ও পাইপ দিয়ে তাকে এলোপাথারীভাবে আঘাত করে হাত, পা, ঘাড়, কোমড়, পিঠ ও মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে। ঘটনার সময় ২নং বিবাদীর সহযোগিতায় ১নং বিবাদী তার গলায় থাকা ১০ (দশ) আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়া যায়, যাহার মূল্য ৭৫ হাজার টাকা। ২নং বিবাদী আমার পরিহিত শার্ট ছিড়িয়া বুক পকেটে থাকা নগদ ২ হাজার ৩শত টাকা নিয়া যায়। এমনকি বিবাদীরা তার বাড়িঘর ভাংচুরের চেষ্টা করে এবং অফিস আগুন দিয়া পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এতে করে বাদি সবুজ নিরাপত্তাহীণতায় ভুগছে বলে দাবী করেন।
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানায়, অভিযোগটি থানায় জমা রয়েছে। তবে এখনো আমার কাছে আসেনি। তবে আমি বা যেই দায়িত্ব পাবেন তদন্ত করে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করবে।