নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে বন্দরে গনহত্যা দিবস উপলক্ষে বীর শহীদদের স্বরনে, স্মৃতিচারন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (৪ এপ্রিল) বন্দর সিরাজদৌল্লা মাঠের পাশে বদ্ধভূমিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এরআগে বন্দর সিরাজদৌল্লা মাঠে বদ্ধভূমিতে ৫৮জন বীর শহীদদের স্বরনে পুস্পার্ঘ অর্পন করেন নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট, সমমনা ও নারায়ণগহঞ্জ সিটি কর্পোরেশন।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ধিমেন সাহার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক ও সন্ত্রাস বিরোধী তত্বীমঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি।
রফিউর রাব্বি বলেন, বন্দর সিরাজদৌল্লা মাঠে ৫১ বছর আগে নির্মম নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল। সারা নারায়ণগঞ্জে ২শ গনহত্যা সংঘটিত হয়েছে। যার অসংখ্য ইতিহাস চাপা পড়ে আছে।
যার ফলে এ সুযোগগুলো কাজে লাগাচ্ছে কতিপয় স্বার্থাম্বেসী মহল। তারাই আজ স্বাধীণতা বিরোধী শক্তিকে আজ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে।
এতে করে আমাদের নতুন প্রজন্ম বিভ্রান্তিতে পড়ছে। আমাদের নারায়ণগঞ্জে ২শ’ গনহত্যা সংঘটিত হওয়ার তথ্যটি আমরা এখনও পাচ্ছিনা।
এই তথ্যগুলো এখন খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে এই জন্য যে তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা নামধারী ব্যাক্তিবর্গ স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করার মিশন নিয়ে তারা মাঠে নেমেছে।
এজন্য প্রকৃত ইতিহাস লিপিবদ্ধ করার জরুরী। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভুল ইতিহাসের মূখোমূখি দাড় করানো যাবে না।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে একটি তথ্য উপাথ্যে উঠে এসেছে ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী শতকরা ৮০জন হচ্ছে কৃষকের সন্তান। যাদেও অধিকাংশ সনদ নাই, সরকারের সুযোগ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। তাদের অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
আজকে চৌঠা এপ্রিল গনহত্যা দিবসে এই শপথেই করতে চাই বীনশহিদদের স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করব। এই দেশকে প্রকৃত অর্থে শোষনহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা,গনতান্ত্রিক একটি দেশ,একটি মানবিক দেশ,অসাম্প্রদায়িক একটি দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করব এটাই হবে আমাদের প্রতিজ্ঞা।
আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারন সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা বাসদের আহ্বায়ক নিখিল দাস, বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটির সাধারন সম্পাদক সুজয় রায়, বন্দর নাগরিক কমিটির সাধারন সম্পাদক শাহআলম, ইউসুফ ভূইয়া ননী প্রমূখ।