স্টাফ রিপোর্টারঃ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ সুমাইয়া(১৮),আদিল (১৫), রিয়া(৬) যোবায়ের ওমর খান(২৭) পরিবারকে ১০ আগষ্ট শনিবার নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে নগদ অর্থ সহায়তা করলো নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামি। এসময় আহত হওয়া ছাত্র-জনতার খোজ নেন মহানগরীর নেতৃবৃন্দ।
গত ২০ জুলাই শনিবার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সরকার দলীয় হায়েনা বাহিনীর বুলেটের আঘাতে প্রান যায় সুমাইয়ার(১৮)।পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়,সিদ্দিরগঞ্জ থানার পাইনাদি দোয়েল চত্বর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন সুমাইয়া।দুই মাসের মেয়ে সোয়াইবা’কে ঘুম পারিয়ে জানালায় দাড়িয়ে ছিলেন। ঘাতকরা যখন হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি করছিলো, সুমাইয়া তখন জানালার পাশে ছিল। তখন একটা গুলি জানালার গ্রিল ভেদ করে তার মাথায় আঘাত করলে সাথে সাথে লুটিয়ে পরেন শহীদ হন সুমাইয়া।
এদিকে ফতুল্লা ভূইগর এলাকার তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র শহীদ আদিল (১৫) গত ২০ই জুলাই দেশ যখন উত্তপ্ত, তখন তিনি নেমে পড়েন ছাত্রদের যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে এবং বুলেটের আঘাতে তার প্রান যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা নাসিক ৭ নং ওয়ার্ড নয়াপাড়া এলাকায় এড. জাহাঙ্গীর আহমেদ খান এর ছোট ছেলে যোবায়ের ওমর খান
মিরপুর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (BUP) ্অর্নাসের আইন বিভাগে প্রথম বর্ষে অধ্যায়নরত ছিলেন গত ৫ জুলাই যাত্রাবাড়ী হাইওয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। নয়া মাটি দীনবন্ধু মার্কেটের রিয়া গোপ (৬) ও ২০ই জুলাই নিহত হয়।ঐদিন রিয়ার বাবা মেয়েকে নিয়ে যখন বাড়ির ছাদে উঠেন, তখন হঠাৎ আচমকা একটা গুলি এসে রিয়ার শরীরে আঘাত করে এবং নিহত হন।এ ঘটনায় রিয়ার বাবা সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়ে ঘরেই নিরাপদ না,আমার আর কিছু বলার নেই।
এসময় মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন যার বুকের ধন খালি হয়েছে একমাত্র তিনিই উপলব্ধি করতে পারে তার মনের কি অবস্থা। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি নারায়ণগঞ্জ মহানগর সব সময় শহীদদের পরিবারের পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা শহীদ এবং আহত হয়েছেন তাদের খোঁজ খবর নেওয়ার সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের অন্যতম সদস্য মাওলানা মঈনুউদ্দিন আহমদ, মহানগরী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, মহানগরী কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা শিহাব উদ্দিন,
মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি হাফেজ আবদুল মোমিন সহ আরও অনেকে।