মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন

বাম জোটের হরতালে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ১৫

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০২২, ৭.৩৮ এএম
  • ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জে বাম গণতান্ত্রিক জোটের হরতালে বাধা দিয়ে নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে শহরের চাষাঢ়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

এ সময় কমপক্ষে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সমন্বয়ক নিখিল দাস।

 

আহতদের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের জেলা কমিটির সভাপতি সুলতানা আক্তার, বাসদ ফতুল্লা ইউনিয়ন কমিটির সদস্য মোজাম্মেল হোসেন ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সদস্য সামিউল হক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জেলা কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেনের নাম জানা গেছে।

নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানোর তৎপরতা বন্ধের দাবিতে সারা দেশে আধাবেলা হরতাল পালন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এ কর্মসূচীর ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জেও নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে মিছিল করে ও যানবাহন চলাচলে বাধা দিয়ে হরতালের সময় বন্ধ রাখতে আহ্বান জানান।

তবে এতেও নারায়ণগঞ্জ শহরে হরতালের তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। শহরের যানবাহন চলাচল ছিল প্রায় স্বাভাবিক। দোকানপাটও খোলা ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীমতে, সকাল ৭টার দিকে হরতালের সমর্থনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা-কর্মীরা শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকা থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

 

এ সময় হরতাল সমর্থনকারী ব্যক্তিরা সড়কে যানবাহন চলাচলে বাধা দেন। হরতালে দুপুর পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখারও আহ্বান জানান তাঁরা।

এ সময় চাষাঢ়া এলাকায় দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। পরে হরতাল সমর্থনকারী ব্যক্তিরা চাষাঢ়া ও ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় অবস্থান নিলে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ এসে তাঁদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে। এতে বাম জোটের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

পরে সকাল পৌনে আটটার দিকে শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকা থেকে আবার মিছিল বের করেন হরতাল সমর্থনকারী ব্যক্তিরা। সেখানেও পুলিশ বাধা দেয় এবং তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।

মিছিলে বাধা দেওয়ায় ও লাঠিপেটা করার প্রতিবাদে পরে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় সমাবেশ করেন। এতে বক্তব্য দেন জোটের জেলা সমন্বয়ক ও বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস, জেলা সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদের সদস্যসচিব আবু নাঈম, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবু হাসান প্রমুখ।

সমাবেশে পুলিশের লাঠাচার্জের প্রতিবাদ জানিয়ে বাম নেতারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। গণদাবির মুখে অর্ধবেলা হরতাল ডেকেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট৷ শান্তিপূর্ণ হরতালে পুলিশ বাধা দিয়েছে, লাঠিচার্জ করেছে ৷

 

জনগণের ট্যাক্সের টাকার বেতনভোগ করে জনদাবির আন্দোলনে হামলা চালায় পুলিশ ৷ আওয়ামী লীগ সরকারের শুধু লুটপাটই চালাচ্ছে না, সেই লুটপাটের বিরুদ্ধে জনগণ দাঁড়ালে তাদের দমাতে পুলিশসহ রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করছে ৷ এভাবে বেশিদিন চলবে না ৷

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজামান বলেন, হরতালে মিছিল করতে বাধা দেওয়া হয়নি। মিছিল থেকে দুটি গাড়ি ভাংচুর ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। এ কারণে মৃদু লাঠিপেটা করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort