খালি চোখে দেখলে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলের করা ২৩৪ রান খুব বড় সংগ্রহ নয়। কিন্তু উইন্ডিজের উইকেট আর কন্ডিশন বিচারে সফরকারী ব্যাটসম্যানরা মন্দ করেননি বলা যায়। তাতে টাইগারদের ছন্দে থাকা বোলিং বিভাগ নিয়ে প্রত্যাশা দানা বাঁধে। ফাইট দিতে পারলে এ রানেও লিড নেওয়া রূপকথা নয়। কিন্তু অ্যান্টিগায় যে বোলিং প্রদর্শনী ছিল সফরকারীদের, সেন্ট লুসিয়ায় প্রথম দিনের খেলা শেষে তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি।
প্রথম দিনের খেলা শেষে সাকুল্য ১৬ ওভার ব্যাট করেছে উইন্ডিজ। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান তুলেছে তারা। বাংলাদেশ থেকে ক্যারিবীয়রা এখনো ১৬৭ রানে পিছিয়ে থাকলে হাতে পাক্কা ১০ উইকেট আছে। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ৫৫ বলে ৩০ এবং জন ক্যাম্পবেল ৪১ বলে ৩২ রানে শনিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।
বাংলাদেশকে অলআউট করে প্রথম দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নামে ক্যারিবীয়রা, যেখানে শুরু থেকেই আগ্রাসী তারা। দুই ওপেনার ব্র্যাথওয়েট ও ক্যাম্পবেল ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ওয়ানডের গতিতে রান তুলেছেন। তাদের সামনে একেবারে অসহায় খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলামরা। উল্টো আলগা বলে ব্যাটসম্যানদের রান করতে সাহায্য করেছেন তারা।
শুরুতে অবশ্য সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে খালেদ অল্পের জন্য ক্যাম্পবেলের উইকেট নিতে পারেননি। ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ক্যাম্পবেল। বল ব্যাট মিস করে লাগে পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন ক্যাম্পবেল। বল উইকেটের উপর দিয়ে যাওয়ায় ৮ রানে জীবন পান এ ব্যাটসম্যান।
প্রথম ৭ ওভারে ৪০ রান দিয়ে বসেন শরিফুল আর খালেদ। উইন্ডিজ যেখানে ৬৩ ওভার বল করেও স্পিনার আনেনি, সেখানে অধিনায়ক সাকিব নিজেই অষ্টম ওভারে হাত ঘুরাতে আসেন। একটি ব্রেক-থ্রুর আশায় ঘনঘন বোলিং পরিবর্তন করেন অধিনায়ক সাকিব, অফ স্পিনার মিরাজকে অ্যাটাকে নিয়ে আসেন, তবে লাভ হয়নি কিছুতেই।
দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ দল অবশ্যই চাইবে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে। কেননা দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৭ উইকেটে হারের পর সিরিজ বাঁচাতে চলমান এই ম্যাচে জয় ভিন্ন রাস্তা খোলা নেই সাকিবের দলের সামনে।