ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার আওয়ামী লীগের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাগুরু কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইন সাহেব। তিনি পরপর তিনবার ভাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি রাজনীতিতে ঢোকার পূর্বে ব্যবসায়ী হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন ,তার বাস ও ট্রাকের এর জমজমাট ব্যবসা ছিল, তার নাম ভাঙিয়ে অনেকেই আঙ্গুল ফুলিয়ে কলাগাছ হয়েছেন, রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন। ভাঙ্গা থানায় ছাত্রলীগ ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ এবং মূল দলের প্রতিটি সংগঠনের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা প্রশংসীয় ও অপরিসীম। এখন হয়তো নেতাকর্মীরা কিছুটা বিবাজনে রয়েছে , কোনো নেতাকর্মী মাননীয় সংসদ সদস্য এবং যুবলীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম মেম্বার মুজিবুর রহমান নেক্সন চৌধুরীর সাথে যোগ দিয়েছেন। আবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরউল্লাহর সাথে রয়েছেন। এই দুই প্রভাবশালী নেতার কারণে দুই দলে ভাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়েছে। বর্তমানে ভাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ দুর্বল হয়ে পড়েছে সঠিক নেতৃত্বের অভাবে। দুই দলের নেতা কর্মীদের ই মধ্যে শিক্ষাগুরু হিসেবে কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইন সাহেব কে সবাই মানে এবং সম্মান করে। কিছু কুচক্রী মহল তার ইমেজ নষ্ট করার জন্য এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে তার কাছে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বলেন প্রত্যেক মানুষেরই কিছু সমালোচনাকারী লোক থাকবেই ,আমার বেলা ও তার ব্যতিক্রম নয় ,আমিও মানুষ আমারও সমালোচনাকারী থাকবে, আমরা জিজ্ঞেস করলাম বর্তমানে আপনার ভাঙ্গা থানার আওয়ামী লীগের সংগঠনের ব্যাপারে কিছু বলবেন, তিনি বললেন আমি একটি কথাই বলতে চাই যারা আওয়ামী লীগকে ভালোবাসেন নৌকাকে ভালোবাসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালবাসেন বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন তাদের দল একটা ,তাদের মার্কা একটা, অন্য কোন দল বা মার্কা হতে পারে না। আসুন সবাই এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নৌকা মার্কার জয়ের জন্য কাজ করি, আমরা আরেকটু জিজ্ঞেস করলাম যদি এইবার মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী যদি নৌকা মার্কার প্রতীক পায় তাহলে কি আপনি আপনার ভাইয়ের বিরুদ্ধে যেয়ে নৌকা মার্কার জয়ের জন্য কাজ করবেন, তিনি বলেন অবশ্যই করবো। কারণ নৌকার প্রতীক বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, নৌকার প্রতীক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক।