রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন

প্রয়াত মফিজুল ইসলামকে প্রধানমন্ত্রী চাচা বলে ডাকতেন : আব্দুল হাই

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ৩.৪৬ এএম
  • ৩৬০ বার পড়া হয়েছে

ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মফিজুল ইসলাম এর ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে পরিবার বর্গের আয়োজনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে নগরীর ডিগুবাবুর বাজার এলাকায় প্রয়াত মফিজুল ইসলামের বড় সন্তান মাহফুজুল ইসলাম রানার সভাপতিত্বে এবং ছোট সন্তান জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহাবুবুল ইসলাম রাজন’র সার্বিক পরিচালনায় এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই।

সংক্ষিপ্ত এক বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে চাচা বলে ডাকতেন। আমি অনেকবার দেখেছি। ধানমন্ডি ৬ নং রোডে আওয়ামী ফাউন্ডেশন ছিলো তখন আমরা বিরোধী দলে ছিলাম। তখন প্রায়ই ওনার সঙ্গে আমরা সেখানে যেতাম। তখন দেখতাম মফিজ ভাইকে প্রধানমন্ত্রী মফিজ চাচা বলে ডাকতেন। তারপর তিনি যখন ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তখনও সংসদ ভবনে আমরা মফিজ ভাইয়ের সাথে গিয়েছিলাম তখনও অত্যান্ত সম্মানের সহিত প্রধানমন্ত্রী আমাদের সাথে কথা বলতেন।

 

আব্দুল হাই আরো বলেন, আমাদের নেতা মফিজুল ইসলাম সাহেব ২০১৪ সালে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার সাথে আমার পরিচয় হলো আমি যখন ষাটের দশকে ছাত্রলীগ করি। তখন তিনি সোনাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি কোনো হাইব্রিড নেতা ছিলেননা। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ থেকে তিনি তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলেন। তখন আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম ছিলো এবং পরবর্তিকালে তিনি আমাদের শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি হোন। পরে ৯২—৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি দক্ষতার সাথে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। মফিজ ভাই একজন সরল মনের মানুষ ছিলেন এবং সংগঠন প্রিয় মানুষ ছিলেন। তার একটা বিরাট গুণ ছিলো যে তার চাঁনমারীর বাড়ীতে যেকোনো কর্মী গেলে সেটা সাংগঠনিক সমস্যা হোক, ব্যক্তিগত সমস্যা হোক বা পারিবারিক সমস্যা হোক না কেন তার বাড়ী থেকে কেউ মন খারাপ করে বের হয়নি। কাকে কিভাবে সহযোগীতা করতে হবে সেটা তিনি ভালোভাবেই জানতেন। প্রত্যেক জেলা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন জাতীয় কমিটির সদস্য দেয়া হয়ে থাকে। সেই হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে এখানে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তিনি অত্যান্ত ভালো মনের মানুষ ছিলেন। আপনারা সকলে প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা মফিজুল ইসলামের জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ পাক যেনো তাকে বেহেশত নসিব করেন।

স্মরণ সভা শেষে প্রয়াত জননেতা মফিজুল ইসলাম এর রুহের মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ শেষে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।

আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শাহজাহানের সঞ্চালনায় এসময় স্মরণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাজী আমজাদ হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ মাষ্টার, সাধারন সম্পাদক এবিএম আজহারুল ইসলাম, বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন পনির, বন্দর থানা শ্রমিকলীগের দরকষাকষি বিষয়ক সম্পাদক নাজির মিয়া, বন্দর থানা আওয়ামীলীগ নেতা মেহেদী হাসান, মোঃ শফিউদ্দিন, গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি আক্তার হোসেন সুকুম, মার্কেটের ম্যানেজার নুরুজাম্মান মিয়া, কাউসার আহম্মেদ, কাজল হাওলাদার ও সুমন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort