বুন্দেসলিগায় শনিবার রাতে লেইপজিগকে ৩-২ গোলে হারায় বায়ার্ন মিউনিখ। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে গোল করেন থমাস মুলার ও রবার্তো লেভানডস্কি, বাকি একটি গোল প্রতিপক্ষের উপহার দেওয়া। লেইপজিগের হয়ে গোল দুটি করেছেন আন্দ্রে সিলভা ও এনকুনকো। এ ম্যাচেও গোল করে টানা ৬৮ ম্যাচেই গোল করল বায়ার্ন মিউনিখ।
সবশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই লেইপজিগের বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করেছিল বাভারিয়ানরা।
পুরো ম্যাচে ৫৯ শতাংশ বল দখলে ছিল বায়ার্ন মিউনিখের। প্রতিপক্ষের পোস্টে শট নেয় ২৩টি, যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৭টি। লেইপজিগ নেয় ১২টি শট, লক্ষ্যেই ছিল সাতটি। ম্যাচের ১২ মিনিটেই থমাস মুলারের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে পোস্ট শট নেন রবার্তো লেভানডস্কি, কিন্তু গোকরক্ষক গুলাসি তা ফিরিয়ে দিলে ফিরতি বলে সহজেই জালে জড়ান মুলার।
২৭ মিনিটে পর্তুগিজ আন্দ্রে সিলভার গোলে ম্যাচে সমতা টানে লেইপজিগ। বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ারের মাথার ওপর দিয়ে কর্নাড লেইমারের নেওয়া চিপ শট পোস্টে লেগে ফিরে এলে ফিরতে বল জালে জড়ান সিলভা। প্রথমার্ধের বিরতিতে যাওয়ার আগেই আবারো এগিয়ে যায় জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। ৪৪ মিনিটে গোল করেন গোলমেশিন রবার্তো লেভানডস্কি। বাম দিকে থেকে কোমানের ক্রসে বক্সের ভেতরে থেকে হেডে বল জালে জড়ান এই পোলিশ ফরোয়ার্ড।
৫৩ মিনিটে বায়ার্নকে অস্বস্তিতে ফেলে আবারো সমতায় ফেরে লেইপজিগ। কর্নাড লেইমারের বাড়ানো পাস থেকে বল জালে জড়ান মিডফিল্ডার ক্রিস্তোফার এনকুনকু। তবে ৫৮ মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে বায়ার্ন মিউনিখকে গোল উপহার দেন লেইপজিগের ডিফেন্ডার জোকো ভার্দিওল। এই গোলের জয় নিশ্চিত হয় বাভারিয়ানদের।
এই জয়ে ২১ ম্যাচে ১৭ জয়, এক ড্র ও তিন হারে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ। এদিকে ২১ ম্যাচে নয় জয়, চার ড্র ও আট হারে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার সাত নম্বরে লেইপজিগ।