নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে সল্প ভাড়ায় যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে পরিবহন মাফিয়া থেকে মুক্তি চায় মালিকরা। সে লক্ষে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নসিব পরিবহন প্রা. লি.। দীর্ঘ ১৬ বছর চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের তৎপরতায় বন্ধ হয়ে যাওয়া নসিব পরিবহনটি আবারো ঘুরে দাঁড়াতে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন। রবিবার সকালে কালিরবাজার র্যাব ক্যাম্পে গিয়ে অভিযোগের বিষয়টি অবগত করেছেন বলে জানিয়েছেন মালিকপক্ষ।
তাদের দাবী, বিগত সময় সাবেক এমপি শামীম ওসমান তার লোকজন নসিব পরিবহন মালিকদের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। এমনকি জোর পুর্বক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে নসিব পরিবহনটি বন্ধ করে দেয়। তার পরিবর্তে বন্ধু পরিবহন চালু করে। এখনো তার দোসর এবং সেই পরিবহন মাফিয়া গ্রুপের দোসররা বন্ধু পরিবহনটি পরিচালনা করছে। যার কারণে বৈধ অনুমোদিত নসিব পরিবহনটি চালু হতে বাধার সম্মূখীন হচ্ছে। সেসকল পরিবহন মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানায় তারা। তাই কালির বাজার র্যাব ক্যাম্পে অভিযোগের বিষয়টি অবগত করেছেন নসিব পরিবহনের মালিকরা।
এ বিষয়ে নসিব পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল আমিন মির্জা জানায়, আমরা পরিবহন মাফিয়াদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তবে এখনো ওই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থেকে বন্ধু পরিবহন পরিচালনা করছে। আমরা নসিব পরিবহনের মালিকরা শান্তিতে যাত্রী সেবা দিতে চাই। আমাদের অঙ্গিকার ভাড়া কমিয়ে যাত্রী সেবা দিবো। শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্র ১০টাকা ভাড়া নির্ধারিত করেছি। যেহেতু কোনো চাঁদা দিতে হবে না। আমরা সঠিক সেবাটি দিতে চাই। তবে মাফিয়া চক্রটি সক্রিয় থাকায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা র্যাব অফিসে অভিযোগ জানিয়েছি। উনাদের মাধ্যমে পরিবহন মাফিয়াদের কাছ থেকে মুক্তি চেয়ে অভিযোগ দিয়ে অবগত করেছি। আশা করি প্রশাসনের সহযোগীতায় অচিরেই নসিব পরিবহন যাত্রী সেবায় কাজ করবে।
উল্লেখ্য, গত ১লা সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তার শ্যালক এহাসানুল হাসান নিপু ও তার সহযোগীসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজি ও হামলা-নির্যাতনের অভিযোগে মামলা রুজু করেন পরিবহন মালিকরা। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শামীম ওসমানের শ্যালক এহসানুল হাসান নিপু, হকার্সলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ যুবলীগ নেতা মহসিন ভূঁইয়া, শামীম ওসমানের পরিবহন খাতের ক্যাশিয়ার দিদারুল আলম, সাইফুল ইসলামের পরিবহন ক্যাডার মো. রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা মো. সুলতান, আইয়ুব আলী মেম্বার, মিলন ও আজমেরী ওসমানের ক্যাডার নাসির। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আমলী আদলতের বিচারক সাফিয়া শারমীন মামলাটি এজাহারভূক্ত করতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। ওইসময় বর্তমান উপদেষ্টা সরকারের কাছে সাবেক এমপি ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানায় ভুক্তভোগীরা।