শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় নার্গিস আক্তার (৪০) নামের এক নারীকে বটি দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে জাহিদ মাঝি (২৪)। হত্যার পর নিজের দায় স্বীকার করেছে ঘাতক ছেলে।
আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার ঘরিসার বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নার্গিস ঘরিসার বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম মাঝির স্ত্রী।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি জব্দ করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, রাত সাড়ে ৮টার টার দিকে উপজেলার ঘরিসার বাজারের জালালউদ্দিন মার্কেট নিচতলা থেকে জাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে পুলিশের কাছে তার মাকে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
নিহতের স্বামী সেলিম মাঝি বলেন, আজ দুপুরে আমি আর আমার স্ত্রী নারগিছ বেগম একটি বিবাহের দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে আসি। পরে আমার বড় ছেলে জাহিদকে ও তার মা নারগিছকে ঘরে রেখে যাই। কিন্তু সন্ধার সময় আমার ভাই শাহিন মাঝিকে নিয়ে বাড়ি গিয়ে দেখি আমার ঘরের দরজা বন্ধ। পরে ডাকাডাকি করেও দরজা না খোলায় দরজা ভেঙ্গে ফেলি। দরজা ভেঙ্গে দেখি আমার স্ত্রী নারগিছকে জাহিদ বডি দা দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলে রেখেছে। নারগিছ মেঝেতে পড়ে ছিল। পরে বাজারের লোকজন জাহিদকে আটক করে। আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে বাঁচাতে পারিনি। আমার ছেলের মাথায় সমস্যা আছে। আমি কি করবো আমার তো সব শেষ হয়ে গেল। আমি ওর ফাঁসি চাই।
এদিকে মাকে হত্যার পরে জনতার হাতে আটক জাহিদ মাঝির এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে ঘাতক জাহিদ মাকে হত্যার দায় স্বীকার করে বলে, আমার পরিবার আমাকে ধর্ম থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছিলো। আমার মা ইসলাম ধর্ম, মহান আল্লাহ ও রাসুল (সঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করছিলো। আমি তা সহ্য করতে না পেরে আমি তাকে হত্যা করেছি। আমি হত্যার দায় স্বীকার করছি।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, সন্তান তাঁর মাকে কুপিয়ে আহত করেছেন এমন তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এর মধ্যে ওই মায়ের মৃত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহত নার্গিসের স্বজনেরা ওই ছেলেকে আটক করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়েছে। অভিযুক্ত জাহিদ মানষিক বিকারগ্রস্থ্য মনে হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে।