কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, আমরা নির্বাচন মানেই গণতন্ত্র বুঝি। কিন্তু নির্বাচনের সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন মূলত গণতন্ত্রের একটি চর্চা। গণতন্ত্র আছে, এখন আমাদের গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। এই চর্চা করতে হলে আমাদের সরকার নির্বাচিত করতে হবে। সরকার নির্বাচন আবার ভিন্ন প্রক্রিয়া।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে পাঠ চিন্তা আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পথ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘এবারের গণঅভ্যুত্থানের লড়াইটা আর একাত্তরের লড়াইটার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। এবার আমরা সুনির্দিষ্টভাবে ফ্যাসিবাদ, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এবার আমরা শুধু এক ব্যক্তির পদত্যাগ করিয়েই থেমে যাইনি, এখন রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তন চাচ্ছি। কীভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হয়, রূপান্তর করতে হয় তা আমাদের সমাজে পরিষ্কার না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে আমরা এখনো সফল হতে পারিনি। এই গণঅভ্যুত্থানকে কীভাবে বিজয়ের পথে নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করার জন্যই আজকেই এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতদিন আমরা গণঅভ্যুথান দেখেছি। এখন আমাদের প্রতিবিপ্লব দেখতে হবে।’
নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাদের ভুলগুলো শুধরাতে হবে। আমরা এখনো জানি না এই সরকার কীভাবে নিজেদের বৈধ দাবি করবে। আমি যতটুকু বুঝতে পারছি বিদ্যমান আইনের মধ্যে এই সরকারকে বৈধ বলার কোনো কারণ নেই। তারা জোর করে করবেন যতটুকু ক্ষমতা তাদের হাতে আছে। কিন্তু এটা কখনো বৈধ হবে না।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা হাসান জাফর দিপু, সারোয়ার তুষার, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল, গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, ছাত্র ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা প্রমুখ।