অবৈধ পরিবহনে সড়কে পা ফেলার জায়গা নেই, ফুটপাতেও হকারদের দখলে, অবৈধ পাকিং আর মোড়ে মোড়ে অবৈধ স্ট্যান্ডে জটলা। তাই চাষাঢ়া থেকে ২নং রেল গেইটে পায়ে হেটে ১০ মিনিটের পথ, গাড়িতে যেতে হয় অর্ধঘন্টায়।
প্রতিদিন শিল্প অধ্যষিত নারায়ণগঞ্জ শহরে চলাচল করা অভিজ্ঞতা অনেকটা এমন। তবে, সেই অভিজ্ঞতা অনেকের বদলে গেছে মঙ্গলবার।
রমজান মাসের তৃতীয় দিন, তার উপর অফিস-আদালত খোলা। তারপরেও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ উদ্যোগে ফুটপাত এখন হকার মুক্ত, সড়কে নেই অবৈধ পরিবহন। মোড়ের স্ট্যান্ড গুলোও নিয়ন্ত্রণে। তাই স্বস্তিতে চলাচল করছে নগরবাসী।
৫ এপ্রিল সকাল থেকে খানপুর মোড়, জেলা পরিষদের সামনের রোড, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রোড, চুনকা পাঠাকারের সামনের রোড, মন্ডলপাড়া ব্রিজ, ২নং রেল গেইটের ডায়মন্ড হল চত্বর এবং ১ নং রেল গেইট এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে পুলিশের পাশাপাশি এই ট্রাফিক কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য। ফলে অবৈধ পরিবহন নগরীতে প্রবেশ করতে পারছে না। মোড় গুলোতে রিকশা, কিংবা অন্যকোন যানবাহন দাঁড়াতে পারছে না। এ ছাড়া নগরীর ফুটপাতে হকারদের বসতে দিচ্ছে না পুলিশ সদস্যরা।
এতে সড়কের পাশাপাশি ফটুপাতেও মানুষ স্বস্তিতে চলাচল করছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে নগরীতে প্রবেশ করে অনেকটাই অভাক রবিউল ইসলাম। তিনি জানান, ঈদকে ঘিরে প্রতিবছরই সড়কে যানজট লেগে থাকে। সোমবার পুলিশের ঘোষণা শুনে বিশ্বাস করতে পারিনি। আজ শহরে প্রবেশ করে ধারণাই বদলে গেছে। তাই পুলিশ ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি যানজট নিয়ন্ত্রণের এমন প্রদক্ষেপ সব সময় গ্র্রহণের অনুরোধ করছি।
পৌরসভা থেকে অনুমোদিত রিকশার চালক দেলোয়ার মিয়া জানান, ‘সড়ক যানজট মুক্ত থাকায় আজকে দুপুরের আগেই জমা তুলে ৫০০ টাকার বেশি আয় করেছি। গতকাল রাত পর্যন্ত রিকশা চালিয়েও ৬০০ টাকা আয় করতে পারিনি’।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ৭টি স্থানে পুলিশ সদস্য ও ট্রাফিক কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যরা অবস্থান নিয়ে যানজট নিরসনে অবৈধ পরিবহন নারায়ণগঞ্জ শহরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। সকালে আমি ঘুরে ঘুরে এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখে এসেছি, অন্যান্য দিনের চেয়ে আজকে যানজট নিয়ন্ত্রণের পরিস্থিতি ভালো।