নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে হামলার ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া ও গিয়াসউদ্দিনের ছবি ভাংচুর করেছে বলে নেতা কর্মীরা জানান।
রবিবার রাতে আদমজী কদমতলী এলাকার ৭ নং ওয়ার্ড কার্যালয় বিএনপি অফিস সংলগ্ন কদমতলী পুলে ফুটপাতে দোকান বসিয়ে দৈনিক টাকা উঠানোকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও ছাত্রদল বিভক্ত হয়ে এ হামলার ঘটনাটি ঘটনায়। হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষনিক আহতদের নাম জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের একাধিক সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন ধরে সাত নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির ৭১ নাম্বার সদস্য শামীম আহমেদ ঢালির কদমতলী পুল এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকজনকে নেপথ্যে নিয়ে সরকারি জায়গা প্রায় ২২ থেকে ২৫ টি দোকান বসিয়ে, প্রতিদিন দোকান থেবে ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে।
বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে আন্তঃকোন্দল দেখা দিলে চারিদিকে আলোচনা ও সমালোচনার শুরু হয়। এর মধ্যে ছাত্র পরিচয়ে ৫/৭ জন যুবক চাঁদা আদায়ের বিষয়টি জানতে চায়। এ খবর পেয়ে শামীম ঢালী লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ছাত্র পরিচয়ে ওই যুবকদের ধাওয়া দেয়। এতে ওই যুবকদের সাথে আরো কিছু লোকজন একত্রিত হয়ে শামীম ঢালি ও তার লোকজনদের উল্টো ধাওয়া দিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে ভাংচুর করে।
এদিকে এ সংবাদ পেয়ে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাত নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জামান মির্জা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আমির হোসেন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শামিম ঢালীসহ তার লোকজনকে ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করে।
তবে ফুটপাতে দোকান বসিয়ে টাকা উঠানোর বিষয়টিকে নিয়ে একে অপরকে দোষারূপ করছে। উভয়ে বলছে আমরা কেউ টাকা নেইনা। শামীম ঢালি ও তার লোকজন বলছেন ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কয়েক নেতা ও ছাত্রদলের কর্মীরা এ টাকা আদায় করছে।
অপরদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির একাধিক নেতাকমী ও ছাত্রদলের রাকিবুর রহমান সাগর সমর্থিত লোকজন বলছেন, শামীম আহমেদ ঢালি কিছু আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে এককভাবে দৈনিক এ টাকা আদায় করছে। যার ফলে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ ও আন্তঃকোন্দলের সৃষ্টি হয়। যার বহিঃ প্রকাশই এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাইলে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর জানায়, আমার কোন লোক হামলা করে নাই। আর আমাদের কেউ ফুটপাতে দোকান বসিয়ে টাকা উঠায় না। আমরা এলাকায় মাদক, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড প্রতিরোধে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে কাজ করছি।
দলের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু অসাধু নেতাকর্মীরা নিজের সুবিধা আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
এ বিষয়ে জানতে শামীম ঢালির মোবাইলে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।