রাজু খন্দকার : ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে হত্যা ও তাদের দোসরদের বিচারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে অবস্থান কর্মসূচি ও এাকটি বিশাল মিছিল নিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করেন।
বুধবার (১৪ আগষ্ট) বিকেল ৩ টায় নগরীর হোসিয়ারী সমিতির সামনে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় এ কর্মসূচি ও এাকটি বিশাল মিছিল নিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করা হয়।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আজ আমাদের ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে হত্যা ও তাদের দোসরদের বিচারের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি।
১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সালে বাকশালী সরকারের হাত থেকে এদেশের মানুষ মুক্ত হয়েছিলো। এই ১৫ আগষ্টকে ঘিরে শেখ হাসিনা ওয়াজেদ আবার নতুন করে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
আমরা এই ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে চাই, তাই আপনারা প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন।
এ সময় সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হলেও তাদের দোসররা এখনও দেশের শান্তি নষ্ট করার পায়তারা করছে। তাই আমি আহবান করবো আপনাদের পাড়া মহল্লায় হিন্দু পরিবার ও তাদের মন্দিরে পাহারা দিবেন।
এই বাকশালী সরকারের পতনের কারনে দেশের মানুষ নিজের মন খুলে কথা বলতে পারছে। ১৯৮০ সালে খুনি হাসিনা দেশে আসার পরই তার ষড়যন্ত্রে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিলো। তাই আমরা বলতে চাই এই দেশের মাটিতে শেখ হাসিনাকে আর দেখতে চাই না। কারন এই ফ্যাসিবাদী সরকার অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় এসে নিরহ মানুষ ছাত্র জনতা, শ্রমিকদের বুকের রক্তের উপর চেয়ারে বসে ছিলো। সেই ছাত্র জনতার ভয়েই আবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
তিনি আরও বরেন, আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী, সন্ত্রাসী, খুনি, গুম, চাঁদাবাজ ও মানুষের অধিকার হরণ করা সংগঠন। আমরা বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদী সংগঠন চাই না। বাংলার মাটিতে এই খুনি সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিধ করা হউক। সেই সাথে এই ফ্যাসিবাদী সংগঠনে থাকা শামীম ওসমানের মত খুনিদের ফাঁসি চাই।
এ সময় আরো কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এড. জাকির হোসেন, ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, সরকার হুমায়ুন কবীর, বিএনপি নেতা ডাঃ মুজিবুর রহমান,সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. আনোয়ার প্রধান, বন্দর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান,যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরিফ মায়া, মহানগরের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, ওলামা দলের হাফেজ মামুন, শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মোঃ আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন সহ বিভিন্ন থানা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন,মহানগর বিএনপির সদস্য মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক নজরুল ইসলাম সরদার, জাহাঙ্গীর মিয়াজী, শাহীন আহম্মেদ, আক্তার হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম বাবু, তাউলাদ হোসেন, পলাশ প্রধান,আল-আরিফ, ফারুক আহম্মেদ, কাজী নাঈম, মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি,মানিক বেপারী,মহানগর যুবদল নেতা আকতার হোসেন অপু,মহানগর যুবদল নেতা রাফি উদ্দিন রিয়াদ,যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আকতার হোসেন অপু শফিকুল ইসলাম, শহিদুল্লাহ, আরমান, আরিফ হোসেন, রাজু আহম্মেদ রাজন, জনি দেওয়ান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক জনি, দুলাল হোসেন, সাইদউল্লাহ রোমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।