নারায়ণগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবািহনীর সংঘর্ষ, যানবাহন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে নতুন করে আরও ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলার সংখ্যা ২৪। এসকল মামলায় শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে পুলিশ আরও ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ফলে গত ৬দিনে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮৭ জনে।
এদিকে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নিরপরাধ মানুষও রয়েছে। তাদের আটকের পর নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। আবার দেনদরবারের পর কেউ কেউ ছাড়া পাচ্ছে কাউকে কাউকে আবার ৫৪ ধারায় চালান করা হচ্ছে। মানে যে সকল থানায় নাশকতার মামলা হয়েছে সে থানাগুলোতে আটক বাণিজ্য হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে আসামিরা চাষাঢ়া মোড়, ২নং রেলগেট, সদর থানা, ফতুল্লা থানার জালকুড়ি, ভূঁইগড়, সাইনবোর্ড, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল, চিটাগাং রোড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোড়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারি অফিস সার্ভিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও পুলিশ পিবিআইএ অফিসেও তারা হামলা করে। এছাড়াও কাঁচপুর মেঘনা টোল প্লাজা, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে।
সেই সাথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড এসবি গার্মেন্ট, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, সাইনবোর্ড হাইওয়ে পুলিশ বক্স, বন্দর ধামগড় ফাঁড়ি, জালকুড়ি শীতল বাস ডিপো পুড়িয়ে দেয়। শিমরাইল ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোড়ে হাইওয়ে পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে গত ২১ জুলাই পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে নাশকতাকারীদের অপসারণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। শুক্রবার (২৬ জুলাই) পর্যন্ত গ্রেপ্তারের সংখ্যা ছিল ৪৩৬ জন এবং মামলার সংখ্যা ছিল ২২টি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম-অপারেশন) চাইলাউ মারমা লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, ২৬ হতে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে আমরা ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। নতুন করে আরও ২টি মামলা করা হয়েছে।