নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমান বলেছেন, আমরা কোনো পরাজিত শক্তি না। আমরা ভাবতেও পারি নাই জামায়াত-বিএনপি এত জঘন্য হবে। একজন হিন্দু ভদ্র মহিলা তার মেয়েকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। জামায়াত বিএনপির লোকজন তাদের উপর আক্রমণ করে।
ওই মহিলার হাত ভর্তি স্বর্ণের চুড়ি ছিল চাওয়া মাত্র সেগুলো ওদের দিয়ে দিয়েছে। ওনার গলার মঙ্গলসূত্র ছিল। ওদের বলেছে বাবা এটা নিও না। ওরা শুনেনি। মঙ্গলসূত্র টানতে গিয়ে ওই মহিলার ব্লাউজ খুলে ফেলা হয়েছে। তখন ওই মহিলার কি অবস্থা হতে পারে চিন্তা করতে পারেন। তার মেয়ের ওড়না খুলে ফেলা হয়েছে এবং শরীরে হাত দেওয়া হয়েছে।
আর আমার কাছে যেটা বেশি খারাপ লাগছে, একজন সাংবাদিক বোন তার দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছিলেন। তাকে প্রচণ্ডভাবে মারা হয়েছে। বিএনপি নেতা ইকবাল তার পিঠে ঘুষি মেরেছে। তার পোশাক ছিড়ে তাকে অর্ধ নগ্ন করা হলো। এই ন্যাক্কারজনক কাজে জামায়াত বিএনপিকে কিভাবে ছাড় দেওয়া যায়।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেমন রাজাকারদের খুঁজে খুঁজে এনে বিচার করা হয়েছে। ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আন্দোলনের নামে জনগণের যানমালের ক্ষতিকারী ও তাণ্ডবকারী জামায়াত বিএনপিকে ঘর থেকে খুঁজে খুঁজে বের করব। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিসংতায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে নারায়ণগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্থস্থান পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় শামীম ওসমান আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা কোনো রাজনীতি করেন না। পুলিশকে পানি পান করিয়েছে সেই অপরাধে তাদের গার্মেন্টসটাকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হলো। তাদের মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। ২৬টি শীতল এসি বাস পুড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করেছে। এসব ঘটনা শুনে আমি বসে থাকতে পারি নাই।
আমি হাসপাতালে ভর্তি তারপরও আমি হাসপাতালে থেকে স্যালাইন খুলে চলে আসি। ওদের সঙ্গে কোনো গণতান্ত্রিক চর্চা নারায়ণগঞ্জে আর হবে না। আমরা ঘরে ঘরে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে এবং হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপি জামায়াতকে শহর থেকে সেদিন খালি করতে এক দুই ঘণ্টা সময় নিয়েছি মাত্র। আর ছাড় নয়।