নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমান বলেন, এখানে যারা আছেন তারা যদি আমাকে কথা দেন যা আপনারা থাকবেন তাহলে আমরা সারা নারায়ণগঞ্জে একটি বড় কালো পতাকার মিছিল করবো। আগস্ট মাস শোকের মাস, এই শোক আমাদের শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। কালো পতাকা হাতে এখানের নেতৃবৃন্দ যে যার এলাকায় টহল দেবে। আমি কসম করে বলতেছি বর্তমানে যে পরিস্থিতি, সেটাকে হালকা ভাবে নিয়েন না, বাঁচবেন না। ঘরের বউ বাচ্চাকে রক্ষা করতে পারবেন না।
আপনি যত বড়ই নেতা হোন না কেন ওরা আধা ঘন্টা সময় নেবে। সবকিছু নষ্ট করে ফেলবে। ওরা ৭১’এও এটা করেছিল এখনো করবে। তাই অনুরোধ করবো কেউ এখন আর সময়টাকে হালকা ভাবে নিয়েন না। আগামী তেশরা আগস্ট শনিবার আমরা একটি বড় জনসভা করব। সারা নারায়ণগঞ্জ প্রদক্ষিণ করব কালো পতাকা হাতে।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাইফেল ক্লাবে মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপত্বিতে ও সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহার সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, এড. মাহমুদা মালা, জিএম আরাফাত, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ, এনসিসির প্যানেল মেয়র ১ ও ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মোঃ আব্দুল করিম বাবু, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ কামরুল হাসান মুন্নাসহ আরও অনেকে।
এ সময় শামীম ওসমান আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে অনেক কিছু ঘটেছে আরো কিছু ঘটতে পারে। আমরা শুধুমাত্র এক শেখ হাসিনার রাজনীতি করি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। আমি মহানগরের একজন সদস্য হিসাবে এখানের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ করবো বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের যা অবস্থা সেটা লিখিতভাবে নেত্রীর কাছে অবগত করার জন্য। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নেত্রী যা বলবে আমরা সেটাই করবো। এর থেকে এক চুল কম বা বেশি আগাবো না।
তিনি বলেন, সেদিনের হামলায় নারায়ণগঞ্জে যত ক্ষতি হয়েছে আমরা আওয়ামী লীগরা তেমন কিছু করতে পারিনি। সব থেকে বড় শক্তি আল্লাহতালা তার পর হলো জনশক্তি।
এক পর্যায়ে শামীম ওসমান ওয়ার্ড নেতা-কর্মীদের নিজ নিজ এলাকার বিএনপির জামাতের বাড়ির ঠিকানা ও নাম তালিকা করার নির্দেশ দেন। বিশেষ করে যারা বিএনপি বা জামাত বড়লোক আছেন তাদের নামগুলো।