স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর নেতাকর্মীদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলেছেন, আমি জানি না কাকে কোথায় ধরা হচ্ছে। বিএনপির এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এটা শুনেছি। ওনার নামে হেফাজতের মামলা ছিল। আর কোথায় কী হচ্ছে তা আমি জানি না, আর আমার জানার ব্যাপারও না।
তিনি বলেন, ওইটা প্রশাসন দেখবে, শহরে যদি কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় তাহলে তা দেখবে প্রশাসন। আমি তো সারাদিন ব্যস্ত। আমি কোনো সহিংসতার সঙ্গে জড়িত না। কখনো কাউকে বলিনি ওকে ধরেন, ওইটা করেন। আমি চাই ভোট কেন্দ্র যেন পরিষ্কার থাকে, কোনো সন্ত্রাসী যেন ঝামেলা লাগাতে না পারে। ভোটাররা যেন ঠিকমতো ভোট দিতে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার নিজের এলাকা নাসিকের ১৬নং ওয়ার্ডে নির্বাচনের প্রচারণার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আইভী বলেন, প্রত্যেক নির্বাচনের আগে এমন পরিস্থিতি হতেই পারে। এজন্য প্রশাসন সচেতন, তারা এ বিষয় দেখভাল করবে। আমি আমার ভোটারদের বলব- তারা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে। নারায়ণগঞ্জে এর আগে ৩টা নির্বাচন হয়েছে, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন। টানটান উত্তেজনা ছিল। সবাই ভোট দিতে গেছে, পরিবেশ খুবই সুন্দর ছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করব যেন নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ এমন সুন্দর থাকে, উৎসব মুখর থাকে। সেই ব্যবস্থা যেন তারা করেন।
নতুন ভোটাররা তাকে কেন ভোট দেবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে আইভী বলেন, নতুন ভোটাররা অনেক সচেতন। ওরা চায় আধুনিক নগরী, খোলা ময়দান, খেলার মাঠ। আমি এ ব্যাপারে অনেক কাজ করেছি। ভবিষ্যতেও করব। আমি সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে যেমন আমার দলের কাজ করেছি, তেমনি দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করেছি। এগুলা নতুন ভোটাররা পছন্দ করেন। আমি পরিষ্কারভাবে কথা বলি, আমার মধ্যে স্বচ্ছতা আছে, মিথ্যার আশ্রয় নেই না। এজন্য নতুন ভোটাররা আমাকে ভোট দেবেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারদলীয় প্রার্থী হিসেবে কখনো কোনো বাড়তি সুবিধা পাই নাই আর বাড়তি সুবিধা নিতে আমি পছন্দও করি না। জনস্রোত যখন আমার আশে আছে আমি কেন বাড়তি সুবিধা নিতে যাবো! আমি তো জনবিচ্ছিন্ন কেউ না। প্রশাসন কখনো আমার হাতের মুঠোয় ছিল না, নেওয়ার চেষ্টাও করিনি। সব সময় মানুষের দোরগোড়ায় গিয়েছি, আমি আমার জনগণকে পাশে রাখার চেষ্টা করেছি।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির, আদিনাথ বসু, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, প্যানেল মেয়র আফরোজা হাসান প্রমুখ।
এদিকে বিকালে আইভী বন্দরের ১৯নং ওয়ার্ডে প্রচারণা চালিয়েছেন। এ সময় শত শত নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে নৌকা মার্কার প্রচারণা চলে। ডা. আইভী ১৯নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ থেকে গণসংযোগ শুরু করে লক্ষারচর, ফরাজীকান্দা এলাকয় ভোট প্রার্থনা করেন। আবারো নির্বাচিত হতে পারলে নিজের চলমান উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখবেন বলে আইভী প্রতিশ্রুতি দেন ভোটারদের।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশিষ্ট ঠিকাদার একেএম আবু সুফিয়ান, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর প্রার্থী ফয়সাল মো. সাগর, শিউলি নওশাদ প্রমুখ।