নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে ৫০লক্ষ টাকা চাঁদা দাবিসহ জোরপুর্বক দখল এবং নির্যাতনের অভিযোগ তোলেছেন পরিবহন মালিকরা। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নসিব পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেডের ভুক্তভোগী মালিকরা। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে নসিব পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচলক আল আমিন মির্জা বলেন, ২০০৯ সালে পঞ্চাশ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সাবেক এমপি শামীম ওসমানের নির্দেশে তার শ্যালক সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু তার লোকজন নিয়ে সুরমা হোটেলে নাসবি পরিবহনের তৎকালিন কার্যালয়ে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে আহত করেছিল। আমাদের নসিব পরিবহন জোরপুর্বক দখলে নিয়ে বন্ধু পরিবহন নামে সচল করে নিয়েছিল তারা। এমনকি আমাদের মালিকদের রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে। এছাড়াও ৭ খুনে জড়িত নুর হোসেনকে দিয়ে মামলা করে হয়রানি করা হয়েছিল। এতে করে বছরকে বছর আমাদের পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। এমনকি মামলা থেকে মুক্তি পেতে আদালতে জামিন নিতে বাধা দেয়া হয়েছিল। সেদিন কোনো আইনজীবীর সহযোগীতা নিতে দেয়নি শামীম ওসমানের সহযোগী আইনজীবী খোকন সাহা, আনিসুর রহমান দিপুসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। যে কারনে ঢাকা থেকে একজন আইনজীবী আমার পক্ষে জামিন চাইলে মহামান্য বিচারক মঞ্জুর করলে আমি পরবর্তিতে স্থায়ী জামিন পাই। তাই বর্তমান উপদেষ্টা সরকারের কাছে আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।
অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা হকার্সলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, কৃষকলীগ নেতা ইব্রাহীম চেঙ্গিস, যুবলীগ নেতা মোঃ মহসীন ভূইয়া, শামীম ওসমানের পরিবহন খাতের ক্যাশিয়ার মোঃ দিদারুল আলম, সাইফুল ইসলাম ভূইয়ার পরিবহন খাতের চাঁদাবাজির ক্যাশিয়ার মোঃ রুবেল, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ সুলতান, আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুব আলী, আজমেরী ওসমানের কেডার নাছিরসহ ১১জনের নাম উল্লেথ করে অজ্ঞাত ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মালিকরা।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সাত্তার বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সারাদেশে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ধারাবাহিকভাবে নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি থানায় গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ এমপি শামীম ওসমান ও তার সহযোগীদের নাম উল্লেখ করে মামলা রুজু হয়। এরই মধ্যে বিগত সময় চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে এবার সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেছেন ভুক্তভোগী পরিবহন মালিকরা।