শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজেও প্রথম দুই ম্যাচ জেতার পর তৃতীয় ম্যাচে হেরে বসেন তামিমরা। এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে একই একাদশ তিন ম্যাচে খেলিয়েও পুরো ৩০ পয়েন্ট ঝুলিতে ভরতে পারল না বাংলাদেশ। বিষয়টি নিয়ে হতাশায় পুড়ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
তবে সেই কষ্ট ছাপিয়ে এখন আলোচনায় তিন ম্যাচেই একই বোলারের করা একইরকম ডেলিভারিতে তামিমের আউট হওয়া।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ১৫ বছর পার করা তামিমের ২১ বছর বয়সি আফগান পেসার ফজল হক ফারুকির কাছে বারবার পরাস্ত হওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীরা।
সাড়ে তিনশর বেশি ম্যাচ খেলেছেন তামিম, একটি দলের অধিনায়কও তিনি। আর তিনিই কিনা মাত্র ৩টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলা পেসার ফারুকির কাছে ধরাশায়ী হলেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে লজ্জিত হন তামিম। বললেন, ‘এতে লজ্জার কিছু নেই, আরও ভালো হতে হবে আমাকে।’
ফারুকির হ্যাটট্রিক শিকারে পরিণত হয়ে সিরিজে তামিমে মোট সংগ্রহ মাত্র ৩১ রান (১১, ১২ ও ৮)। তিন ম্যাচ মিলে পঞ্চাশের কোটাও পার করতে পারেননি এ ড্যাশিং ওপেনার। এর চেয়ে হতাশাজনক পারফরম্যান্স আর কি হতে পারে!
কিন্তু তামিম জানালেন, নিজের ব্যাটিং নিয়ে বরং গর্ব করেন তিনি। একই বোলারের কাছে বারবার আউট হওয়ার চেয়ে তাকে বেশি পোড়াচ্ছে অন্য কিছু। সিরিজে অবদান রাখতে না পারার হতাশায় ভুগছেন তিনি।
সোমবার তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হারের পর তামিম বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, এক বোলারের বলেই বারবার (আউট হওয়া) এটা মনে নেওয়ায় বা লজ্জার কিছু নেই যে, সে আমাকে হারিয়ে দিয়েছে। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে আমার মনে হয়। তবে একই ধরনের ডেলিভারিতে তিনবার আউট হয়েছি বলেই যে কাজ করতে হবে, এমন নয়। কারণ, ওই জায়গায় আমি অনেক রানও করেছি। হয়তো আমাকে আরেকটু ভালো করতে হবে। একটু ভালো হতে হবে। আর এটা নিয়ে আমি কাজ করে যাব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে, আমি সবসময় বলে এসেছি, কাজ করে যেতে হবে, করে যেতেই হবে। কাজ করতে থাকলে এতে ভালো হয়ে উঠবেনই।’
তিন ম্যাচেই কম রানে আউট হওয়া নিয়েই বেশি হতাশ তামিম। বলেন, ‘আউট হওয়ার ধরনের চেয়ে আমি বেশি হতাশ যে দলে অবদান রাখতে পারিনি। ওটা নিয়ে দুর্ভাবনা বেশি নেই আমার, কারণ এই জায়গাটায় আমি আগেও আউট হয়েছি, অনেক রানও করেছি। তবে গোটা সিরিজে রান না করা ও তিনবার আউট হওয়া হতাশাজনক। কারণ নিজের ব্যাটিংয়ে আমি অনেক গর্ব খুঁজে নেই এবং নিজের কাছে নিজের ব্যাটিংয়ের মানদণ্ড অনেক উঁচুতে।’
গত তিন ম্যাচের বিশ্লেষণে দেখা গেল, প্রতিবারই আড়াআড়ি পা নিয়ে অনসাইডে খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন তামিম।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে এলবিডব্লিউ হন তামিম। দুবারই ফারুকির ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি তিনি সামলাতে পারেননি। পা একটু বেশি বাড়িয়ে মাথার পজিশন নড়ে যাওয়াতেই বলে ব্যাট লাগাতে পারেননি, বল লাগে প্যাডে।
তৃতীয় ম্যাচের আগে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স জানিয়েছিলেন, তামিম নিজেও সমস্যাটি অনুভব করছেন এবং তারা এটি নিয়ে কাজ করবেন।
কিন্তু ‘যেই লাউ সেই কদু’ প্রবাদের মতো তৃতীয় ম্যাচেও ফারুকির একই শটে আউট হন। এবার আরো বেশি। বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।