নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে খাগকান্দা কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে নয়াপাড়া এলাকায় কোরবানির পশুর অবৈধ হাট বসিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে খাগকান্দা ইউপি চেয়াম্যান আরিফুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
জেলা প্রশাসন ওই স্থানে হাট বসানো অনুমতি না দিলেও চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার ওই হাটের মাঠ সাজাতে ব্যস্ত ছিলেন। এরই ফলশ্রুতিতে বুধবার থেকে অবৈধ এই হাটে গরু আসতে শুরু করলে নজরে আসে সবার।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, চলতি বছর পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আড়াইহাজার পৌরসভায় ২টি ও গোপালদী পৌরসভায় ৩টিসহ মোট উপজেলার ২২টি স্থানে কোরবানীর পশুর হাট বসানোর জন্য জেলা প্রশাসন অনুমোদন দেয়।
প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া খাগকান্দা ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে নয়াপাড়া এলাকায় কোরবানির পশুর অবৈধ হাট বসিয়েছে ইউপি চেয়াম্যান আরিফুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা। অনুমোদনবিহীন এ কোরবানীর পশুর হাটের মাত্র আড়াই কিলোমিটার দুরত্বে জেলা কদমতলী মনির হোসেন দাখিল মাদ্রাসায় কোরবানীর পশুর হাট অনুমোদন দেয় জেলা প্রশাসন।
খাগকান্দা নয়াপাড়া অবৈধ হাটে কোরবানীর পশুর ভিড়ানোর জন্যে ব্যাপক মাইকিংসহ বিভিন্ন সড়কের মোড়ে লোকজন নিয়োগ করেছে। কাছাকাছি দুইটি হাট বসায় জেলা প্রশাসনের অনুমোদিত কদমতলী মনির হোসেন দাখিল মাদ্রাসা মাঠের হাটে তেমন পশু ভিড়ছেনা।
এনিয়ে ওই এলাকায় লোকজনের মধ্যে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। হাট নিয়ে চেয়ারম্যান আরিফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও একটি স্ট্যাাটর্স দেয়।
এদিকে অনুমোদন ছাড়া কোরবানীর পশুর হাট বসানোর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে খাগকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম বলেন, এটা হাট না। স্থানীয় লোকজন যাতে কোরবানীর পশু কেনাবেচা করতে পারে সেজন্যে আমি স্থানীয়দের একত্রিত করে দিয়েছি।
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসনের অনুমোদনবিহী কোন হাট বসানোর চেস্টা চরম দৃস্টি গোচর ও আইন বহির্ভূত। যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।