সোয়াশত বছরের বেশি পুরোনো এককালের ইউরোপিয়ান ক্লাব তথা বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে জাতির পিতার জন্মদিনে ম্যুরাল উন্মোচন করা হয়েছে। এলিট শ্রেণির ক্লাব হিসেবে পরিচিত এ ক্লাবের ইতিহাসে এই প্রথম জাতির পিতার কোনো স্মৃতিচিহ্ন বা ম্যুরাল স্থাপিত হলো।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, আমি না থাকলে কারও কিছু যায় আসে না। আমি এখন আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি না। আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার মতো আর কেউ নেই। তাই টার্গেটও তিনি একা।
তিনি বলেন, আমার বাবা ও শহিদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী চাচা একই সেলে বন্দি ছিলেন। তাকে ওজু করতে দেয়নি। পাশের রুমে নিয়ে তাদের অফার করা হয়েছিল। তারা বলেছিল আমরা মরে প্রমাণ করতে চাই আমরা শেখ মুজিবের লোক। পরে তাদের হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা এখন শুধু আওয়ামী লীগের নয় তিনি এখন সবার।
বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ক্লাব সভাপতি আসিফ হাসান মাহমুদ মানু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, বিজিবি অধিনায়ক মেজর হাবিব।
শামীম ওসমান এ সময় নারায়ণগঞ্জ ক্লাব সভাপতি আসিফ হাসান মাহমুদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ক্লাবের ইতিহাসে এ কাজটি কেউ কখনো ভাবেননি, কেউ করেননি। সভাপতির নিজস্ব অর্থায়নে ও ক্লাব কমিটির সদিচ্ছায় এমন একটি সুন্দর ম্যুরাল দেখে আমরা সবাই আবেগতাড়িত।
শামীম ওসমান এমপি বলেন, আমাদের দুটো পয়েন্টে সবাইকে এক হতে হবে। এক পররাষ্ট্র নীতি আরেকটা অর্থনীতি। কিন্তু আমি দেখি কিছু সুশীল যারা দেশ বেঁচে খায়। এই পুলিশ ও র্যা বের ওপরে যখন কোনো রাষ্ট্র একটা কিছু করেছে। আমরা সেটা ডিপ্লোমেটিকভাবে মোকাবিলা করব। কিন্তু যখন আমাদের অপমানিত করা হলো তখন অবাক হয়ে দেখি আমাদের দেশের কিছু লোক হাততালি দেয়। এরা কারা। তারা নারায়ণগঞ্জেও এসে মিটিং করে। এ ব্যাপারটা আমাদের দেখা উচিত।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা মাত্র ৩১ বছর বয়সে দেশে এসেছিলেন। তাকে তার ৩২ নম্বরের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আজকে অনেকে মানবাধিকারের কথা বলে। সেদিন আবারো আসতে পারে। ষড়যন্ত্র এখনো হচ্ছে, আমি জাতির পিতার দুই কন্যার জন্য দোয়া চাচ্ছি এবং নিজের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।
শামীম ওসমান বলেন, সামনে আমাদের কঠিন পথ অতিক্রম করতে হবে। দেশের ভেতরে গভীর ষড়যন্ত্র হয়ে গেছে। আমি কুরআনটা অ্যানালাইসিস করে পড়েছি, গত একুশ বছর ধরে পড়ি। শেখ হাসিনা এতিম, আল্লাহ এতিমদের হেফাজত করেন।