আড়াইহাজারে ৪মাসের অন্তঃস্বত্তা এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ যৌতুকের টাকা না পেয়ে তাকে হত্যা করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বুধবার (৩১ আগষ্ট) রাতে উপজেলার ঝাউগড়া এলাকার সেলিমের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহত গৃহবধুর নাম সানিয়া আক্তার। সে একই এলাকার সানাউল্লাহ মিয়া মেয়ে ও ঝাউগড়া এলাকার সেলিম মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, গাড়ী কেনার জন্য ১০ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে না পেয়ে তাকে হত্যা করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ প্রাথমিকভাবে বলছে আত্মহত্যা। তবে এ ঘটনায় নিহত গৃহবধুর শ্বশুর বাড়ির সবাই পলাতক আছে।
এদিকে, এ ঘটনায় উত্তেজিত লোকজন হত্যাকান্ডের অভিযোগ এনে, এর সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানায় যান। পরে আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার তাদের ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করেন।
নিহত সানিয়ার বাবা সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, আড়াই বছর আগে আমার মেয়ের সঙ্গে স্থানীয় ঝাউগড়া এলাকার সেলিমের ছেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিলনা। এর মধ্যে সনিয়া ৪ মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়েন। তবে ৪ মাস ধরে সে বাবার বাড়িতে বসবাস করছিল। ৩০ আগস্ট তাকে বুঝিয়ে ফের স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। জামাতা ইমন চাহিদা মাফিক ১০ লাখ টাকা না পেয়ে আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, খবর পেয়ে সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা লাশের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাইনি।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের রির্পোট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। যদিও নিহত গৃহবধুর শ্বশুর বাড়ির পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। তাই রির্পোট হাতে পেলে আইনত ব্যবস্থা দেয়া হবে।