নারায়ণগঞ্জ কোর্টে এখন কিন্তু আওয়ামীলীগের আইনজীবি নাই, তাহলে আওয়ামীলীগ নেতাদের জামিন কারা করছেন। আপনারাই মামলা দিবেন আবার আপনারাই জামিন করাবেন। ভাল ভাবেই বানিজ্য করে যাচ্ছেন। বানিজ্যিক আর আদর্শিক কি এক ? আমরা হচ্ছি আদর্শিক নেতার আদর্শ কর্মী আর তারা হচ্ছে আদর্শিক নেতার বানিজ্যিক কর্মী। তেল আর পানি যেমন এক হয় না ইনশাআল্লাহ তাদের সাথেও আমাদের মিলেমিশে চলার কোন সুযোগ নাই।
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কাউছার আশা এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাদ আছর ডিআইট মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এই আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য ও সদর থানা বিএনপির সভাপতি হাজী ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির সদস্য ও সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিথ ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ২৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা।এসময়ে আরও বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. বিল্লাল হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্য মনোয়ার হোসেন শোখন, মহানগর বিএনপি নেতা এ্যাড. সামছুজ্জামান খোকা, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদার খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক সফি উদ্দিন সোহেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি হুমায়ুন মোল্লা, মহানগর শ্রমিক দলের সাবেক সদস্য সচিব আলী আজগর, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক।
এসময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল কাউছার আশা আরও বলেন, তারা কথায় কথায় বলেন ১৭ বছর আমরা ছিলাম না, তারা আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। আন্দোলন সংগ্রাম যদি না করতাম তাহলে কি ১৭ বছরে চার বার জেল কি জ্বিন ভুতে খাটিয়েছে। এখানে অনেক নেতাকর্মী আছে যারা একসাথে কারাবরণ করেছি। ২০২৩ সাল পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেছি। ১৪/১৫ সালে আমাদের আগুন সন্ত্রাস বানিয়ে বাড়ি-ঘর ছাড়া করে ছিলো আওয়ামীলীগ। তখন আপনাদের অনেকেই অন্য একটি রাজনৈতিক সংগঠনে যাওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলো। নারায়ণগঞ্জের মাটি ও মানুষ আমাদের আপনজন। ইনশাআল্লাহ আপনারা থাকবেন না কিন্তু আমরা থাকবো।
যার প্রমান আপনারা একদিন আগে কোর্ট প্রাঙ্গনে পেয়েছেন। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আছে যারা দলকে মন থেকে ভালোবাসে। আমাদেরকে ভালোবেসে কেনা যাবে কিন্তু অর্থনৈতিক ভাবে কেনা যাবেনা।
আমরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারি, ৫ তারিখের পর আমরা কোন ধরনের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, নৈরাজ্যপূর্ণ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হই নি। কিন্তু আমরা থানা ও সরকারী দপ্তর গুলো রক্ষা করেছি অথচ এ পুলিশ বাহিনী আমাদের উপর সবচাইতে বেশী নির্যাতন করেছে। অথচ আপনারা কি করছেন, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি শুরু করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এই ৭ নভেম্বরে আপনাদের আহ্বান জানাবো, জিয়াউর রহমান একজন সং ও সাহসী রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি যেমন দেশের প্রয়োজনে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তেমনি দেশের উন্নয়নে কোদাল হাতে মাঠে নেমে পড়েছিলেন। আমরা সেই নেতার কর্মী। আপনাদের মনে রাখতে হবে, হারলে পরেই জিতার সুযোগ থাকে। কিন্তু পালিয়ে গেলে আর ফিরে আসার সুযোগ থাকেনা। আমরা কোন ভাইয়ের বেতনভুক্ত রাজনৈতিক কর্মী নই। আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশের সৈনিক। দেশ ও জাতির মঙ্গলের পক্ষে কাজ করি, নিজেদের আখের গোছানোর রাজনীতি করি না। এটা নারায়ণগঞ্জ বাসী ভাল ভাবেই জানে।
এসময়ে আরও উপস্থিথ ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য আমিনুর ইসলাম মিঠু, শহিদুল ইসলাম রিপন, মহানগর বিএনপি নেতা মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, এ্যাড. শহীদ সারোয়ার, মনির হোসেন, মোঃ সাফি, এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, সুজন মাহমুদ, আনোয়ার দেওয়ান, সেলিম হোসেন, মহিবুল হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন কাজল, মনির হোসেন, রাশেদ আহম্মেদ টিটু, বুলবুল আহম্মেদ, মহানগর যুবদল নেতা দর্পন প্রধান, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ডলি আহম্মেদ,
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লিয়ন হোসেন, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আরাফাত চৌধুরী, যুগ্ম-আহবায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলতাব হোসেন ইব্রাহীম, নুর আফসার শাওন, সোহেল, জুয়েল, নুর ইসলাম, নাছির, জনি, সাইদ, হাসান, আফজাল, মোশারফ হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।