স্ত্রীকে হত্যার জন্য খুনি ভাড়া করে ছিলো স্বামী। হত্যার পর চুক্তির টাকা দিতে না পাড়ায় স্বামীকেও হত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘ ১৩ বছর পর সেই জোড়া খুনের অভিযোগে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে সোমবার (৬ জুন) দুপুরে বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- সুমন, শফিক, সুমন ২, লোকমান, আরিফুল ও জামাল। তাদের মধ্যে সুমন, লোকমান ও শফিক রায় ঘোষণার সময়ে পলাতক ছিলেন।
মামলা সূত্র জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট রাতে রূপগঞ্জের দেবই গ্রামে খাদিজাকে ধর্ষণের পর হত্যা ও স্বামী আবদুর রহমানকে হত্যা করা হয়। পরে দুইজনকে রাস্তার পাশের একটি ডোবায় ফেলে দেয়। ১৬ আগস্ট স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ধর্ষিতা ও নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ‘পারিবারিক কলহের জেরে খাদিজাকে হত্যার জন্য তার স্বামী আব্দুর রহমান খুনি ভাড়া করেছিল। তার স্বামী আব্দুর রহমানসহ ভাড়াটিয়া খুনিরা তাকে গণধর্ষণ করে। পরে পাশের ডোবায় চুবিয়ে হত্যার পর ফেলে দেয়। এদিকে, তার স্বামী আব্দুর রহমান ভাড়াটিয়া খুনিদের চুক্তি অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা পরিশোধ না করায় একই জায়গায় পরিকল্পিত ভাবে তাকেও হত্যা ফেলে রেখে যায়। বিজ্ঞ আদালত ১২ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষর ভিত্তিতে আজ ৬ জনকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেছেন।’
তবে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিবউদ্দিন জানান, খাদিজাকে ধর্ষণ করতে দেখে ফেলায় আব্দুর রহমানকে খুন করা হয়েছে।