নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৫নং ওয়ার্ডের সাইলো রোডের চৌরাপাড়া এলাকায় ওল্ড ফ্যাশন লিমিটেড এর ডাইংয়ের ছড়িয়ে পড়া এসিড মিশ্রিত পানি ও বিষাক্ত বর্জ্যে ওই এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে দুষিত হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ আবাসিক এলাকায় অপরিকল্পিতভাকে গড়ে উঠা কারখানা ও কারখানায় ইটিপি প্লান ব্যবহৃত না হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে সৃষ্টি হয়েছে জনদূর্ভোগ। সম্প্রতি ওই ডাইংয়ের ছড়িয়ে পড়া এসিড মিশ্রিত পানি ও বিষাক্ত বর্জ্যে চৌরাবাড়ী এলাকার উত্তরপাশে বসবাসরত প্রায় ২৫ থেকে ৩০টির বেশি বাড়িঘর তলিয়ে গেছে।
দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসা এ সমস্যা থেকে মুক্তি না পেয়ে এখানকার অনেক বাড়ির ভাড়াটিয়ারা অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। স্থানীয়রা নের্তৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কারো নিকট থেকেই কোন আশ্বাসের বাণীও পাননি বলে আক্ষেপ করেছেন ভূক্তভোগীরা।
তাদের অভিযোগ, ডাইং কারখানার প্রতিষ্ঠানের ভিতরে বিষাক্ত এসিড মিশ্রিত রঙ্গিন পানি ও বর্জ্য আশে পাশের বিভিন্ন পুকুর পাড়, আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিষাক্ত এসিড মিশ্রিত রঙ্গিন পানি ও বর্জ্যতে বসবাস করায় নানা রকম সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এই বিষাক্ত পানিতে রাস্তায় চলাচল করে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী, শিশু ও বয়স্কদের শরীরে নানা রকম চর্ম রোগ দেখা দিয়েছে। ডাইংয়ের জমে থাকা পানি থেকে পচাঁ দূর্গন্ধও ছড়াচ্ছে। চর্ম রোগ, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, ডাইং কারখানা থেকে এসিড মিশ্রিত পানি ও বিষাক্ত বর্জ্য অপসারণের জন্য যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে সেটি দীর্ঘদিন থেকে অকার্যকর হয়ে আছে। সিটি করপোরেশন গঠনের পর এ ড্রেনেজ ব্যবস্থাটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ হলেও নতুন করে নির্মাণ বা সংস্কার করা হয়নি।
ফলে ওই ড্রেন দিয়ে পানি বর্জ্য নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে আছে। আর ওইসব বিষাক্ত এসিডের পানি ও বর্জ্য দীর্ঘদিন থেকে জমে পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। সামনের বর্ষাকালে ভোগান্তি বাড়বে আরো। বৃষ্টি আর ওই ডাইংয়ের বর্জে জমে বিষাক্ত দূগর্ন্ধের সৃষ্টি হবে।
এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার ডাইং প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছে বলেছি কিন্তু তিনি আজও প্রতিকার করেনি। স্থানীয় কাউন্সিলর কাছে গেলে তিনি কোন প্রতিকারের ব্যবস্থা না নিয়ে বলেন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানাতে বলেন।
এ ব্যাপারে ডাইংয়ের কর্মকর্তা মাহাবুব স্থানীয়দের অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়ে বলেন, অনেকে উদ্দ্যেশেপ্রনীতভাবে অনেক কিছু বলে থাকে। এভাবেতো আর কোনো ডাইং কারখানা চলতে পারেনা। আমাদের ইটিপি প্লানের কাজ চলছে।