নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে এক গ্রাহকের দেড় লাখ টাকা উধাও হয়ে গেছে। ব্যাংকের ভিতরে ঐ গ্রাহকের ব্যাগ কেটে এ টাকা নিয়ে যায় প্রতারক। রোববার (১৯ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর ডাচ বাংলা ব্যাংকের ঐ গ্রাহক সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে পুলিশকে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখাতে অজ্ঞাত কারণে গড়িমসি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী গ্রাহক সুমন কেমিক্যাল প্রোডাক্টর মালিক মো. রফিকুল ইসলাম সুমন জানান, তার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সবুজ আহমেদ দুইটি চেক নিয়ে বেলা ১১টায় ডাচ বাংলা ব্যাংকের শিমরাইল শাখায় প্রবেশ করে। তিনি প্রথমে ক্যাশ কাউন্টার থেকে একটি চেক দিয়ে দেড় লাখ টাকা উত্তোলন করে ঐ টাকাগুলো তার ব্যাগে রাখে। পরবর্তীতে ব্যাংকের ভিতরেই সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার আরেকটি চেক ১৬ নাম্বার কাউন্ডারে ফান্ড ট্রান্সফার করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে দিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। এসময় একজন লোক এসে তার পাশে দাঁড়ায়। এর কিছুক্ষণ পর দেখেন তার ব্যাগ কাটা এবং তার উত্তোলন করা দেড় লাখ টাকা নেই। এসময় সুবজ বিষয়টি ব্যাংকের ম্যানেজার মিজানুর রহমানকে জানিয়ে ব্যাংকের গেইট বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু ব্যাংকের ব্যবস্থাপক কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় সবুজ ব্যাপারটি তার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. রফিকুল ইসলাম সুমনকে জানালে তিনি ব্যাংকে আসেন। এসময় ব্যাংকের ম্যানেজারকে ১৬নং কাউন্টারের সিসি টিভি ফুটেজ দেখানোর জন্য অনুরোধ করলে তিনি সিসি টিভি ফুটেজ দেখাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তার অভিযোগ পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল ওয়াহাব ব্যাংকে তদন্তে গিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চাইলে তার সাথেও গড়িমসি করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক।
সুমন কেমিক্যাল প্রোডাক্টর মালিক মো. রফিকুল ইসলাম সুমন আরো জানান, আমার দেড় লাখ টাকা উধাও এর ঘটনা ঘটলেও ব্যাংক ম্যানেজার মিজানুর রহমান টাকা উদ্ধারে কোন সহযোগিতা করছেন না। উল্টো তিনি আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক শিমরাইল শাখার ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান বলেন, সুমন কেমিক্যাল প্রোডাক্টর মো. রফিকুল ইসলাম সুমনের ম্যানেজার সবুজ আহমেদ ১৬নং কাউন্টারে লেনদেন করার সময় তার দেড় লাখ টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। কিন্তু সে কাউন্টারের সিসি টিভি ক্যামেরা নষ্ট। তার ভাগ্যে টাকা নাই। তাই চলে গেছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল ওয়াহাব জানান, অভিযোগ পেয়ে ব্যাংকে গেলে তাদের সিসি টিভি ক্যামেরা নষ্ট এবং ক্যামেরার ফুটেজ রেকর্ড হয় না বলে শাখা ম্যানেজার জানিয়েছেন। ব্যাংকের ভেতরে কিভাবে এমন ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।