স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতিপত্র, পরিবেশগত ছাড়পত্র সহ ট্রেড লাইসেন্স এবং ডাক্তার ও নার্স না থাকায় সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ক্লিনিক ও একটি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করে দিয়েছে সিটি করপোরেশন।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শেখ মোস্তফা আলীর নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় ‘জৈনপুর ক্লিনিক ও বন্ধন ডায়াগনেস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ফিজিউ থেরাপী’ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় সহযোগিতায় ছিলেন, সিটি করপোরেশনের জনস্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ববিদ ডা. নিজাম আলী, ফুড অ্যান্ড স্যানিটেশন অফিসার শাহাদাত হোসেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের লাইসেন্স পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হাসান, জিয়াউল ইসলাম জিকু প্রমুখ।
সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শেখ মোস্তফা আলী বলেন, জালকুড়ি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উল্টোপাশে জৈনপুর ক্লিনিক সিলগালা করে দেওয়া হয়। কারণ এই ক্লিনিকে গিয়ে একজন সির্জারিয়ান রোগী ভর্তি পাওয়া যায়। কিন্তু একজন রোগীর জন্য ডাক্তার, নার্স থাকা জরুরী। কিন্তু তাদের এখানে একজন আয়া ও একজন রিসিপশনিস্ট ছাড়া আর কেউ নেই।
এছাড়াও এই ক্লিনিকের অপারেশন রুম নোংরা। অপারেশন রুমে পুরানো যন্ত্রাংশ সহ গোডাউন হিসেবে মালামাল রাখা হয়েছে। অপারেশন করার মতো পরিস্কার পরিচ্ছন পরিবেশ, বেড বা অন্য কোন কিছুই নেই।
এগুলো ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নেই, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি পত্র নেই, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। এসব কারণে সিলগালা করা হয়।
তিনি বলেন, ওই ক্লিনিকের পাশেই বন্ধন ডায়াগনেস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ফিজিউ থেরাপী নামে প্রতিষ্ঠানটিকেও সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। কারণ এখানেও ট্রেড লাইসেন্স নেই, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি পত্র নেই, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। ল্যাব টেকনলিজিস্ট নেই। এসব কারণে সিলগালা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।