সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পুত্র ইশরাক হোসেন প্রধান বলেছেন, রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। এ রাষ্ট্রের সব নাগরিক সমান মর্যাদা ও বিচার পাবে। তবে আজ একমাত্র সরকার দল এবং তার লেজুড়বৃত্তি করে আসছে তারাই বাংলাদেশের মালিক হয়ে গেছে।
আর আমরা তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক। সে দিন আর নেই, বাংলাদেশে আজ গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। এ সরকার গুম, খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে আছে। আজ বিশ্ব পরিমণ্ডলে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুল ইসলাম মানিকের সভাপতিত্বে বুধবার (১ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া, আলোচনা সভা ও রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পুত্র ইশরাক হোসেন প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।
ইশরাক হোসেন বলেন, আজ আমরা যে আধুনিক বাংলাদেশ নিয়ে গর্ব করি। শহীদ রাষ্ট্রপতি অল্প সময় ক্ষমতায় ছিলেন। এ অল্প সময়ে তিনি অসাধারণ কাজ করেছেন। আমাদের রেমিট্যান্সখাতে বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানির প্রবর্তক ছিলেন জিয়াউর রহমান।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাকশাল বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
বাংলাদেশে অবাধ সাংবাদিক চর্চাকে তিনি উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন গণমাধ্যমকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার মাধ্যমে।
তিনি বলেন, আমাদের তৃতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রাস্তা গার্মেন্টস শিল্প। আপনারা জানেন এখাতে ৬০ লক্ষ্যের ওপরে মানুষ কর্মরত। এই গার্মেন্টস শিল্পকে বিকশিত করতে জিয়াউর রহমান বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের কোরিয়া পাঠান। সেখানে ট্রেনিং শেষে তাদের প্রণোদনা ও লোন দেওয়া হয়। সে গার্মেন্টস শিল্প আজ গর্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
কৃষিখাতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান খাল কাটা কর্মসূচির মাধ্যমে বর্ষা মৌসুমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটিয়েছিলেন পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুমে সে পানি জমিয়ে সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। এই জালেম সরকার আজ জিয়াউর রহমানের কবর স্থানান্তরের মত মন্তব্য করে। এটি আমাদের ব্যথিত করে।
জিয়াউর রহমান একমাত্র রাষ্ট্রপতি যিনি বর্ডারের ভেতরে, বাংকারের ভেতরে থেকে যুদ্ধ করেছেন। বাকিরা বর্ডারের ওপারে কৌশলগত কারণে অবস্থা নিয়েছিলেন। সেই জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেওয়ার মত ধৃষ্টতা দেখায় যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় মাঠেই ছিল না।
বর্তমান সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা তিন তিনটি নির্বাচন বিনা ভোটে রাষ্ট্রযন্ত্রকে কুক্ষিগত করে ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আছে। আমরা যারা রাজনীতি করি তা ক্ষমতার জন্য নয়। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বার বার বলেছেন আমরা ভেটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য লড়াই করছি।
এ রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। এ রাষ্ট্রের সব নাগরিক সমান মর্যাদা ও বিচার পাবে। তবে আজ একমাত্র সরকার দল এবং তার লেজুড়বৃত্তি করে আসছে তারাই বাংলাদেশের মালিক হয়ে গেছে। আর আমরা তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক। সে দিন আর নেই, বাংলাদেশে আজ গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। এ সরকার গুম, খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে আছে।
আজ বিশ্ব পরিমণ্ডলে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। আপনারা জানেন এর সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে দেশের সাতজন শীর্ষ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য কলঙ্কজনক।
অপরদিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, তারেক রহমানকে এ সরকার ভয় পায়। এদেশের গণ-মানুষের একমাত্র বীর তারেক রহমান। কোনো বীরকে আটকে রাখা যায় না। জনগণ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এদেশে তাকে ফিরিয়ে আনবে। আন্দোলন সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন,জনগণকে কতদিন ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখবেন- সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।
তিনি বলেন, অন্যায় করবেন- পতন অনিবার্য। আজ কিন্তু মানুষ মুখ খুলছে। অনেক অন্যায় করেছেন।একটা দেশকে এভাবে ধ্বংস করা ঠিক হচ্ছে না। জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার কত চেষ্টা করেছেন, কই পেরেছেন?
১/১১’র পর আপনাদের বিরুদ্ধে সকল মামলা আপনারা খালাস করে নিয়েছেন।আর ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) নামে মামলা ঝুলিয়ে রেখেছেন। এসব ভুয়া মামলা থেকে নেত্রীকে দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করেন।