চলচ্চিত্রাঙ্গনে সিনেমার কাজের তুলনায় সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এখন অনেক বেশি দৃশ্যমান। এতে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ‘মূর্খ’ বলে মন্তব্য করেন নিপুণ আক্তার। নিপুণের এমন বক্তব্যে তার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তাকে নিয়েও পাল্টা নেতিবাচক মন্তব্য করেন বেশ কয়েকজন শিল্পী। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে চলচ্চিত্র অঙ্গনের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে শিল্পী সমিতি ও নিপুণকে ধৈর্য ধারণ করতে চিঠি দিচ্ছে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠন।
গতকাল ২২ মে ১৮ সংগঠনের সঙ্গে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা ছিল। এ সময় শিল্পী সমিতি নির্বাচনের পর চলমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ১৮ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ১৮ সংগঠনের মুখপাত্র মোহাম্মাদ ইকবাল ও শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির মুখপাত্র ডিএ তায়েব।
ডিএ তায়েব বলেন, ‘শিল্পী সমিতির সঙ্গে ১৮ সংগঠনের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা ছিল। আপনারা জানেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সেটি এখন বিজ্ঞ আদালতের বিষয়। আদালতের ওপর আমরা শ্রদ্ধাশীল। সেটা আমরা আইনের মাধ্যমেই মোকাবিলা করবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘যেহেতু চলমান পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই অশালীন কথাবার্তা বলছে। ফলে শিল্পী সমাজের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বিষয়টি আমরা ১৮ সংগঠনের কাছে উথ্থাপন করেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যাতে পরবর্তীতে এসব আর না হয়।’
মোহাম্মাদ ইকবাল বলেন, ‘অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে শিল্পী সমিতির চলমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশৃঙ্খল কথাবার্তা বলায় দুই পক্ষকে ১৮ সংগঠনের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হবে। যেন ভবিষ্যতে কথা বলার ক্ষেত্রে তারা যেন সতর্ক থাকে। আমরা এফডিসিতে কোনোরকম ঝামেলা চাই না। আমরা সবাই একসঙ্গে থাকতে চাই।’
১৮ সংগঠনের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম খসরুর কাছে জানতে চাইলে তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষকে ধৈর্য ধারণ করার জন্য বলা হবে। এর বাইরে কিছু না।’
শিল্পী সমিতির কারো নামে নয়, সবাইকে এবং নিপুণ আক্তারকে চিঠি দেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘শিল্পী সমিতিকে একটি চিঠি দেব। আর নিপুণ আক্তারকে দেব।’